You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সর্বাত্মক সতর্কতা দুর্ঘটনা কমাতে পারে

লম্বা ছুটি থাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরে মানুষের যাতায়াত অনেকটা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ছিল। ঈদুল আজহায় সরকার ছুটি বাড়িয়ে দেওয়ায় ধারণা করা গিয়েছিল, এবারের ঈদযাত্রাও নিরাপদ হবে। কিন্তু ঈদের আগের দুই দিনে দৈনিক প্রথম আলোয় সড়ক, রেলওয়ে ও নৌপথের যে চিত্র উঠে এসেছে, তা উদ্বেগজনক।

একেক পথে একেক রকম সমস্যা। সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, বেপরোয়া যানবাহন চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেন সময়সূচি ঠিক রাখতে না পারায় যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। বর্ষার মৌসুমে লঞ্চে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় ঝুঁকি বেড়েছে।

সড়ক, ট্রেন ও লঞ্চ—প্রতিটি পরিবহনের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ আছে। আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। এরপরও ঈদযাত্রায় মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকা পড়ে থাকায় শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

শুক্রবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থেকে মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও ধীরগতিতে যানবাহন চলাচলের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে বেশ কয়েকটি গাড়ি বিকল হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফরিদপুরে গরুবোঝাই ট্রাক উল্টে পুকুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে যানজট হয়। কেবল ঢাকা-ময়মনসিংহ বা যমুনার দুই পাশে যানজট হয়েছে, তা নয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেটসহ অনেক মহাসড়কেই কমবেশি যানজটের খবর পাওয়া গেছে।

এরই মধ্যে কয়েকটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অসচেতনতার কারণে। এর একটি ঘটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে। নিয়ম হলো ট্রেন সেতুটির পূর্ব প্রান্তে এসে দাঁড়াবে। এরপর লাইনম্যানের সংকেত নিয়ে সেতুতে উঠবে। কিন্তু ট্রেনটি সংকেত অমান্য করে সেতুতে উঠে গেলে অটো ও বাইকে থাকা তিনজন মারা যান। জামালপুরে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে অটোরিকশাকে সামনে থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে একটি শিশু মারা যায়। ৪ জুন টাঙ্গাইলে ট্রাক দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেলে তাঁর লাশ দাফন করে ছেলেকে আসতে হয় গরু বিক্রি করতে।

এ রকম অকালে যাতে কাউকে প্রাণ হারাতে না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। চালকেরা সজাগ থাকলে যানজট ঠেকানো না গেলেও দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে বুধবার রাত ১২টার পর থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় করা হয়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ১০০ টাকা।

ঈদ সামনে রেখে দুই সেতু থেকে বড় অঙ্কের আয় নিশ্চয়ই দেশের জন্য সুখবর। একই সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। কোন পথে কার গাফিলতি বা দায়িত্বহীনতার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বা যানজট তৈরি হচ্ছে, সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন