জাপানি সংস্কৃতির মধ্যে সুস্থ জীবনযাত্রার একাধিক উপাদান উপস্থিত। তাই বর্তমানে তাদের জীবনযাত্রার একাধিক রীতিনীতি চর্চায় রয়েছে। যেমন সম্প্রতি জাপানি ‘ইনেমুরি’ সংস্কৃতি নিয়ে কৌতূহল দানা বেঁধেছে।
‘ইনেমুরি’ কী?
‘ইনেমুরি’ শব্দের অর্থ ‘জেগে থাকতে থাকতে ঘুমোনো’। স্লিপ এক্সপার্টদের একাংশের মতে, বিষয়টা অনেকটা ‘দিবানিদ্রা’র মতো। দিনের বেলায় ক্লান্তি কাটাতে কর্মক্ষেত্রে বা সফরের সময় অল্প সময়ের (১৫ থেকে ২০ মিনিট) জন্য ঘুমোনোর প্রচলন রয়েছে জাপানে। বিষয়টিকে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবেই দেখেন তাঁরা। এই ধরনের অভ্যাসের ফলে অনেক সময়েই কাজের প্রতি একাগ্রতা বৃদ্ধি পায় বলে দাবি করা হয়। এমনকি জাপানে আলাদা করে ‘ইনেমুরি’ কেন্দ্রও রয়েছে।
উপকার কোথায়
ব্যস্ত জীবনে অনেকেরই এখন পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব দেখা যায়। তার প্রভাব পড়ে কর্মক্ষেত্রে। ক্লান্তি, উদ্বেগের মতো একাধিক কারণেই বর্তমান সমাজ থেকে ঘুমের সময় কমতে শুরু করেছে। তাই অনেকেই মনে করছেন, সেখানে ‘ইনেমুরি’ আপন করে নিলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
কী ভাবে করা যায়
১) প্রথমে সময় এবং জায়গা (ট্রেনে, বাসে বা কর্মক্ষেত্রে) ঠিক করে নিতে হবে। ইচ্ছে না হলেও সেই সময়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে, পারিপার্শ্বিক আলোচনা বা শব্দ থেকে মনকে দূরে রাখতে।
২) মোবাইলে টাইমার সেট করে নেওয়া ভাল। কারণ ২০ মিনিটের বেশি ঘুমোনো উচিত নয়।
৩) চেয়ারে হেলান দিয়ে বা সামনে কোনও টেবিলে মাথা রেখেও এ ক্ষেত্রে ঘুমোনো যায়। তবে বিছানায় ঘুমোনো চলবে না।
৪) ঘুম থেকে ওঠার সময় খুব ধীরে ধীরে চোখ খুলতে হবে। তার পর আবার কাজে ফিরে যেতে হবে।
৫) এক দিনে বার বার ‘ইনেমুরি’ অভ্যাস করা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে রাতে ঘুম আসার সমস্যা হতে পারে।