
সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ন্যায়ানুগ করা কেন জরুরি
বাংলাদেশে বহুমুখী রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। টানাপোড়েনের দৃশ্যমান স্তরে রয়েছে ‘সংস্কার’ প্রশ্নে বিতর্ক-বিবাদ। পরোক্ষ স্তরে চলছে নির্বাচনকেন্দ্রিক অঙ্ক এবং অঙ্ক না মেলার কাজিয়া। সবই করছে মূলত মূলধারার সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়।
সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ের কোনো আলাপে সংখ্যালঘুদের জনপ্রতিনিধিত্ব নিয়ে আপাতত কোনো প্রস্তাব বা তর্ক নেই। হয়তো ধরে নেওয়া হচ্ছে, সংবিধান ও সংসদের সংস্কার উদ্যোগে বড় দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলে সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধিত্বের সমস্যাও মিটবে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ নানান ধর্ম ও বহু জাতের নাগরিক আছেন। তবে অনেকে বলেন, এখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলে পৃথক বর্গ নেই। সবাই আমরা ‘বাংলাদেশি’। রাজনৈতিক উচ্চাশা হিসেবে এটা বেশ ভালো শোনায়। এ রকমই হওয়া দরকার। কিন্তু অমুসলিম ও অবাঙালি বাংলাদেশিরা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক বর্গ হিসেবে পৃথক অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা নিয়েই জীবন যাপন করে। সংখ্যাগুরুরা যদিও মনে করে ‘সংখ্যালঘু’ বলে কিছু নেই, কিন্তু সংখ্যালঘু মনে করছে, তার পৃথক সত্তা সে চাইলেও মুছতে পারছে না।