
রাসায়নিক পণ্যে সামান্য শুল্ক ছাড় পেতে পারেন ট্যানারি মালিকরা
আসন্ন বাজেটে আমদানি করা সাতটি ট্যানিং রাসায়নিক পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর কথা ভাবছে সরকার। এর ফলে ট্যানারি মালিকরা কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে দেশীয় চামড়া শিল্পের সহায়তায় গঠিত বন্ড সুবিধার উপকার পাচ্ছেন মাত্র ২৭ ট্যানারি মালিক। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আরও প্রায় ১০০ জন এ ধরনের সুবিধা ছাড়াই কাজ করেন এবং রাসায়নিক পণ্য আমদানিতে নানা ক্যাটাগরিতে প্রচুর শুল্ক দিতে হয়।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই বৈষম্য অসম পরিবেশ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে জানিয়েছে, বিদ্যমান শুল্ক কাঠামো এ খাতে সুস্থ প্রতিযোগিতা নষ্ট করছে।
এমন সংবাদও আছে যে অনেক ব্যবসায়ী শুল্কমুক্ত রাসায়নিক পণ্য আমদানি করেন এবং পরে খোলাবাজারে বিক্রি করে বন্ড সুবিধা নেন। নন-বন্ডেড মালিকরা প্রচুর শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ফলে সরকার এখন ক্রোমিয়াম সালফেট, অ্যাসিড ডাই ও ওয়াটল এক্সট্র্যাক্টসহ চামড়া ট্যানিংয়ে ব্যবহৃত সাতটি মূল রাসায়নিক পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে।