যে কারণে জিলহজ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম

জাগো নিউজ ২৪ মাহমুদ আহমদ প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৫, ১২:০৬

আরবি সর্বশেষ মাস জিলহজ মাস। জিলহজ মাস অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। এই মাসেই পবিত্র হজ আদায় করা হয়। নানান বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ মাস। এ পবিত্র মাসের ১০ তারিখে কুরবানির ঈদ পালনের মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হজরত ইবরাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)-এর অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতি বহন করে। আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম উম্মাহ প্রতিবছর হজব্রত পালন ও পশু কুরবানি করে থাকে।


জিলহজ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত সম্পর্কে মহানবি (সা.) বলেন, এমন কোনো দিন নেই যে দিনগুলোতে ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদত থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজের প্রথম দশকের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য (তিরমিজি)।


হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমল উত্তম নয়। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও না? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও না। তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে তার সর্বস্ব নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করল এবং কিছুই নিয়ে ফিরতে পারেনি। (বুখারি)


জিলহজ মাসের আমল সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস থেকে যা পাওয়া যায় তাহলো- হজরত মহানবি (সা.) বলেন, 'তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোরবানি করতে চায়, সে যেন জিলহজের চাঁদ দেখার পর চুল ও নখ না কাটে' (ইবনে মাজাহ)। হাদিসে এসেছে, এ দশ দিন যে কোনো নফল আমলেরই সওয়াব বেড়ে যায়। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অন্যান্য যে কোনো সময়ের তুলনায় জিলহজের প্রথম দশ দিনের নেক কাজ আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। (সহিহ বুখারি)


হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন- রাসুল করিম (সা.) বলেছেন, 'এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহর মধ্যবর্তী সময়ের (সগিরা) পাপগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর জান্নাতই হচ্ছে মকবুল হজের একমাত্র প্রতিদান' (বুখারি ও মুসলিম)। এই দিনগুলোতে অধিকহারে তাকবির ইত্যাদি পাঠ করা উচিত। এ বিষয়ক হাদিসে হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে- মহানবি (সা.) বলেন, 'অতএব তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি করে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) এবং তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) পড়বে' (মুসনাদে আহমাদ)।


ইনশাআল্লাহ আমরা আর ক’দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবো। হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার পুরো পরিবারের নজিরবিহীন কুরবানির ইতিহাস মানুষকে যে ত্যাগের শিক্ষা দেয়, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে একজন মুমিন তার সবকিছুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত থাকে। হজরত ইবরাহিম (আ.) এবং তার প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) এবং মা হাজেরার আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশগুলো আল্লাহতায়ালা হজের অংশ হিসাবে গণ্য করেছেন। আর এ হজ ও কুরবানি সম্পন্ন করে থাকি পবিত্র জিলহজ মাসে। যার ফলে ইসলামে জিলহজ মাসের গুরুত্ব অতি ব্যাপক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও