
সাবধান, রান্নাঘরের নিরব ঘাতক প্লাস্টিক
রোজকার জীবনে প্লাস্টিকের পাত্র অঘোষিত সহচর। খাবার সংরক্ষণ থেকে গরম করা পর্যন্ত এই পাত্রগুলোর ওপর ভরসা রাখেন অনেকেই। দেখতে চকচকে, ওজনে হালকা, দামেও সাশ্রয়ী। তাই রান্নাঘরের প্রায় প্রতিটি তাকই দখল করে রেখেছে নানা রকম প্লাস্টিকের বাটি, বাক্স কিংবা বোতল। কিন্তু জানেন কি, এই নিরীহ দেখতে পাত্রগুলোই ধীরে ধীরে আপনার শরীরে বিষ ঢালতে পারে?
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিকের গুণমান নষ্ট হয়, ফাটল ধরে, গন্ধ আটকে যায়, এমনকি ক্ষতিকর রাসায়নিকও খাবারে মিশে যেতে পারে। ফলে হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে হরমোনে বিঘ্ন এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাই রান্নাঘরের এই ‘শব্দহীন ঘাতক’ সম্পর্কে এখনই সচেতন হওয়া জরুরি।
সাবধানের বার্তা দেয় ফাটল বা বেঁকে যাওয়া পাত্র
পাত্রে হালকা ফাটল কিংবা আকারে বাঁকা হয়ে যাওয়া একদমই অবহেলা করার মতো নয়। বিশেষত মাইক্রোওয়েভে ব্যবহার করার কারণে উচ্চ তাপমাত্রায় পাত্র বিকৃত হয়ে যেতে পারে। এতে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু সহজেই জমে গিয়ে খাবারের সঙ্গে মিশে পড়ার ঝুঁকি থাকে, যা আপনার শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পাত্রে স্থায়ী দাগ বা গন্ধ জমে থাকা
অনেকদিন ধরে একই পাত্রে তরকারি বা মসলাদার খাবার রাখার ফলে যদি দাগ বা গন্ধ থেকে যায় এবং তা বহুবার ধোয়ার পরও না যায় তবে বুঝবেন প্লাস্টিক পচতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় পাত্রটি শুধু দৃষ্টিকটুই নয়, স্বাস্থ্যঝুঁকিও ডেকে আনতে পারে।
ঢাকনা যদি ঠিকভাবে না আটকে
একটি খাবার সংরক্ষণের পাত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—তার বায়ুরোধী ক্ষমতা। যদি ঢাকনা আগের মতো ভালোভাবে আটকানো না যায়, ফাঁক থাকে বা বাঁকা হয়ে যায়, তবে তা খাবারকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবে না। এ অবস্থায় পাত্রটি আর ব্যবহার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।