ব্যক্তির গড়া যে জাদুঘরে আছে কয়েক শ বছরের পুরোনো বাদ্যযন্ত্র

প্রথম আলো ময়মনসিংহ সদর প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৫, ১২:১৪

নেত্রকোনা অঞ্চলের জারিগানের শিল্পীরা ছন্দ ও লয় রক্ষার্থে মেকুঁড় ব্যবহার করতেন। যদিও বিশেষ ও বাদ্যযন্ত্রের প্রচলিত নাম মেহুড়। লোকজ পালা ও দলবদ্ধ গ্রামীণ গান বা ঘেটুগানেও এই মেকুঁড় পরা হতো। এই যন্ত্রের এখন তৈরিকারক নেই, ব্যবহারও নেই। এর পরিবর্তে ঘুঙুর ও নূপুর স্থান দখল করেছে। ময়মনসিংহ নগরে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা এশিয়ান সংগীত জাদুঘরে প্রবেশমুখের হাতের ডান দিকে চলছে এই মেকুঁড় প্রদর্শনী।


লোকজ বাদ্যযন্ত্র বরাবর তৈরি হয় সহজপ্রাপ্য দ্রব্যাদি দিয়েই। লাউ, কুমড়োর খোল, মাটির হাঁড়ি, কলসি, চামড়া, বাঁশ, কাঠ ইত্যাদিই ছিল লোকজ বাদ্যযন্ত্র তৈরির প্রধান উপাদান। তবে অন্য সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ও কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের অনেকগুলোই হারিয়ে গেছে। আর টিকে থাকা বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারও লোকসংগীতে এখন আর নেই বললেই চলে। ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে এশিয়ান সংগীত জাদুঘর।


২০২০ সালে এই সংগীত জাদুঘরের যাত্রা শুরু করেন রেজাউল করিম আসলাম। তবে বিরল বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ শুরু করেন আরও অনেক আগে থেকেই। তিন পুরুষ ধরেই বাদ্যযন্ত্র বেচাবিক্রির সঙ্গে জড়িত রেজাউল করিমের পরিবার।


ময়মনসিংহ শহরের দুর্গাবাড়ি সড়কে ‘নবাব অ্যান্ড কোং’ নামে রেজাউল করিমের বাদ্যযন্ত্রের একটি দোকান আছে। ১৯৪৪ সালে তাঁর দাদা নবাব আলী বাদ্যযন্ত্রের ব্যবসা শুরু করেন। দাদার পর তাঁর বাবা জালাল উদ্দিন ব্যবসার হাল ধরেন। এখন এ ব্যবসা দেখেন রেজাউল করিম। পুরোনো বাদ্যযন্ত্রের প্রতি আগ্রহ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন এসব যন্ত্র। শুধু সংগ্রহ নয়, আগামী প্রজন্মের কাছে এসব যন্ত্র পরিচয় করিয়ে দিতে এবং শিল্পের বিকাশেও কাজ করছে রেজাউল করিমের এই সংগীত জাদুঘর।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও