কৃষিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করা এবং খাদ্যসংক্রান্ত যেকোনো উদ্যোগ সঠিকভাবে পরিচালনা জরুরি

বণিক বার্তা শেখ বশির উদ্দিন প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৫, ১০:০৮

খাদ্য বা কৃষি কোনোটার সঙ্গেই বাণিজ্যের সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। এটা মূলত খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজটা হচ্ছে বাজারের মূল্য পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। কাজটা একটু জটিল যেহেতু উৎপাদনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এই কাজটাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে করতে হয়। মন্ত্রণালয়ের সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করি, সেখানে সচিব, অতিরিক্ত সচিবরা ছিলেন। যেটাকে বলে ব্যাকওয়ার্ড রিজনিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ড থিংকিং। ব্যাকওয়ার্ড রিজনিং করার চেষ্টা করলাম আমাদের রমজানে আল্লাহর রহমতে দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা ছিল, ওখান থেকে আমরা কী শিখতে পারি? কী করতে পারি? দেখলাম যে অনেকগুলো কাজ আমরা রমজানে করেছিলাম। তা থেকে পর্যালোচনা করলাম, কোনটা কাজ করেছে? কোনটা কাজ করেনি। সবকিছু তো আসলে কাজ করে না। আমরা তখন সামগ্রিকভাবে সিদ্ধান্ত নিলাম যে এর প্রত্যেকটা কাজ আবার করব। যতগুলো সম্ভব, সব তো সম্ভব নয়।


কারণ আমরা অনেক ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কিছু কর হ্রাস নিয়েছিলাম। সেগুলো হয়তোবা সম্ভব নয়। কারণ কর অব্যাহতি দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা আছে। কিন্তু এগুলো বাদে যে কাজগুলো করণীয় তা আমরা পুনরায় করতে পারি। যেমন টিসিবি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওএমএস কার্যক্রম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্পৃক্ততা, ভোক্তা অধিকার এমনকি আমাদের রাষ্ট্রীয় যে বিভিন্ন এজেন্সি আছে, গোয়েন্দা সংস্থাসহ আমরা সবার সঙ্গে কাজ করেছিলাম। আপনাদের হয়তো খেয়াল আছে যে বণিক বার্তা একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল টিসিবির সঙ্গে ব্যবসা করা নিয়ে। আমরা একই জিনিস আবারো করছি। তবে আমি বলতে চাই যে আমি যে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট তা নয়। কেন তা বলছি, আজকে এখানে আমাদের যারা বক্তা তাদের কাছ থেকে আমি আসলে বিপণন পর্যায়ে আলোচনা শুনেছি। কিন্তু আমরা যখন খাদ্যনিরাপত্তার কথা বলছি, তখন সরকার কর্তৃক আমাদের ১৭টা প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকা করা আছে।


যদি আমরা প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও ব্যবসার কথা বলি, তাহলে বিপণন মূলত কৃষির সুযোগকে আর্থিকভাবে কাজে লাগানোর একটি পদ্ধতি। আমাদের যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আছে এ সম্ভাবনাকে কীভাবে কাজে লাগাব। আমাদের কৃষি মানেই যে খাদ্য এমন নয়। কৃষি মানে খাদ্যের বিপরীতও হতে পারে। কৃষি মানে ফুল ও অন্যান্য জিনিসও হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের কৃষি ও খাদ্যকে সমার্থক করতে হয়েছে! কারণ আমাদের দেশের জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে কৃষিকে একমাত্র খাদ্যে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আমরা কৃষি বলতে কেবল খাদ্যকেই চিন্তা করতে পারছি এবং সঠিকভাবেই করছি। কিন্তু একদিন ইনশা আল্লাহ আমরা এখান থেকে বের হতে চাই। আবার কৃষি মানেই মানুষের খাদ্য নয়, পশুখাদ্যও কৃষির আওতাধীন। কারণ পশু যে খাদ্য খায় এটাও কৃষি থেকে আসে, আবার আমরাও পশুকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। পশুর খাদ্যমূল্যের সঙ্গে আমাদের খাদ্যমূল্যের ওতপ্রোত সম্পর্ক আছে। সুতরাং এটা নিয়েও আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে।


আমাদের মুদ্রাস্ফীতির ঝুড়িটা অনেক বড় এবং আমি মনে করি প্রয়োজনীয় দ্রব্যের রেফারেন্সে আমাদের একটা মুদ্রাস্ফীতি ইনডেক্স থাকা উচিত। যেন আমরা এর ভেতর দিয়ে বাজারকে খুবই কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে পারি, সর্বোপরি ভালোভাবে বুঝতে পারি। আমরা ন্যায় বাণিজ্যের যে কথা বলছি, এটা রাষ্ট্রেরও দায় ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। এই ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিয়ামক হিসেবে যে জিনিসগুলো কাজ করে সেটা হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গগুলোর স্বাধীন অবস্থান। আমরা কমপিটিশন কমিশনের ব্যাপারে কথা শুনলাম। আপনারা দেখেছেন, আমরা বর্তমান কমিশনকে পুনর্গঠিত করেছি এবং এখানে যোগ্য লোককে আনা হয়েছে। তাদের আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পরিসরে দক্ষ ও যোগ্য কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। তাদের স্বাধীনতায় কোনো রকম হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না।


আগে যে ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা একেবারে ভুল, কারণ এখানে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। কোনো একজন ব্যক্তির কথার ভিত্তিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে কেবল বিচার বিভাগীয় নয়, বরং পূর্ণাঙ্গ বিচারিক কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হয়েছে। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের পরিচয় বহন করে। তবে এখান থেকে আমাদের উত্তরণ প্রয়োজন এবং এর জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। এখনো অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অনিয়ম চলছে, যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন। যারা এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন, তাদের তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা নিশ্চিত করতে হবে। তথ্যের অসংগতির কারণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে পরিসংখ্যানভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাব বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাই এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও