
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আকাশযুদ্ধে চীনা ‘জে-১০সি’ যুদ্ধবিমানের সাফল্যের রহস্য কী
১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে চীন ছিল একটি নিম্ন আয়ের দেশ। তখন দেশটির প্রতি ১০ জনের ৯ জন চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করতেন। দেশটির বর্তমান যে শিল্প খাত, তখন সেটির অস্তিত্ব ছিল না বললেই চলে।
কিন্তু কোনো প্রতিবন্ধকতা আধুনিক চীনের রূপকার দেং জিয়াওপিংকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি এক দশক ধরে দেশটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সময় একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিমান তৈরির কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এর লক্ষ্য ছিল মূলত স্থানীয় প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে এমন একটি যুদ্ধবিমান তৈরি, যা নিশ্চিতভাবে পশ্চিমাদের তৈরি বিমানগুলোকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
নতুন ধরনের এই চীনা যুদ্ধবিমান তৈরির কাজটি এতটাই ব্যাপক ও দীর্ঘ ছিল যে তা দেং জিয়াওপিংয়ের ১১ বছরের শাসনকালকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
দেংয়ের উত্তরসূরি চীনের প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন ১৯৯৪ সালে একবার যুদ্ধবিমান নির্মাণকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, চীন এমন একটি যুদ্ধবিমান তৈরি করছে, যা পারমাণবিক বোমার চেয়ে বেশি কার্যকর।
পুরোপুরিভাবে জে-১০ যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চীনের প্রায় আড়াই দশক সময় লেগেছিল। এটি এমন একটি প্রাণঘাতী যুদ্ধবিমান, যা আকাশযুদ্ধে যেমন সক্ষম, তেমনি স্থলভাগে আঘাত হানার ক্ষেত্রেও সমান দক্ষ। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি (২০০৪-২০০৬) যুদ্ধবিমানটি চালু করা হয় এবং ২০১৮ সালে এটি যুদ্ধ খাতে যুক্ত হয়।
- ট্যাগ:
- আন্তর্জাতিক
- সাফল্য
- যুদ্ধবিমান