
গ্রীষ্মে শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতায় সাধারণত বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। শিশুদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় বেশি। তাই ঋতু অনুসারে শিশুদের যত্নের ধরনও পরিবর্তন করতে হবে। গ্রীষ্মকালে শিশুদের সুস্থ রাখতে ঘরোয়া প্রস্তুতি প্রয়োজন। প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকছে। এ সময়ে বাড়িতে খাবার স্যালাইন, থার্মোমিটার, পানির বোতল, তোয়ালে, রিচার্জেবল ফ্যানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ছয় মাসের কম বয়সি শিশুদের ঘনঘন বুকের দুধ খাওয়াতে হবে হাইড্রেটেড রাখার জন্য। ৬ মাসের বেশি বয়সি শিশুদের দুই তিন ঘণ্টা পরপর পানি পান করানো উচিত। গোসলের পর, শিশুর মাথা ভালোভাবে শুকাতে হবে যেন চুল ভেজা না থাকে, ভেজা চুলের কারণে শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে, এ থেকে জ্বর বা কাশিও হতে পারে।
দিনের গরম সময়ে শিশুদের বাইরে না নেওয়াই ভালো। বাইরে বের হওয়ার সময় মেডিকেটেড সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং ছায়ায় থাকার চেষ্টা করতে হবে। সরাসরি তাপ থেকে দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে টুপি পরাতে হবে বা ছাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। সুতি কাপড় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ভিজিয়ে দিনে ২-৩ বার শিশুর শরীর মুছে দিতে হবে।
ঘর ঠান্ডা রাখতে দিনেরবেলা ঘরের পর্দা বন্ধ ও রাতে জানালা খুলে রাখতে হবে। খোলামেলা, আরামদায়ক, ভালোভাবে বাতাস চলাচলকারী এমন ঘরে শিশুদের রাখতে হবে। এ ছাড়া ফ্যান ও সম্ভব হলে এয়ারকুলার ব্যবহার করা যেতে পারে।