
বিড়াল থেকে কি ডিপথেরিয়া হতে পারে
মানুষ ঘরে প্রাণী পোষে বহুকাল আগে থেকে। বিড়াল, কুকুর, পাখি, মাছসহ পোষ্যের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে একদল আছে, যারা প্রকৃতির প্রাণীকে গৃহে বন্দী করার বিপক্ষে। এর পক্ষে–বিপক্ষে যুক্তি আছে, আরও আছে বিভিন্ন সংস্থা, যারা প্রাণীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। তবে সবাই একটা বিষয়ে একমত—প্রাণীটি যেন ভালো ও নিরাপদে থাকে। তবে পশুপাখি নিয়ে এমন অনেক ধারণাও প্রচলিত আছে, বৈজ্ঞানিকভাবে যেসবের কোনো ভিত্তি নেই। অনেকে মনে করেন, বিড়ালের পশম মুখে গেলে ডিপথেরিয়া হয়। আদতে কি এই ধারণা ঠিক?
ডিপথেরিয়া কী
ডিপথেরিয়া মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা নাক, গলা ও শ্বাসনালিতে তীব্র প্রদাহ সৃষ্টি করে। এর জন্য দায়ী করনিব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরি নামের এক ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া এমন কিছু বিষাক্ত রস বা টক্সিন তৈরি করে, যার ফলে গলায় অস্বাভাবিক আস্তরণ সৃষ্টি হয়। এই আস্তরণের কারণে শ্বাসরোধ পর্যন্ত হতে পারে। তা ছাড়া টক্সিন রক্তে মিশে গিয়ে হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুকেও আক্রান্ত করতে পারে। কখনো কখনো চোখ, ত্বক ও দেহের অন্য অংশও এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়। রোগীর দেহে প্রকাশ পায় নানা উপসর্গ।