
কৃমি থেকে বাঁচবেন কীভাবে
www.ajkerpatrika.com
প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২৫, ১১:১৬
কৃমি অন্ত্রে বসবাস করে। অতিরিক্ত হলে পায়ুপথে এসে বাসা বাঁধতে থাকে। এতে পায়ুপথে চুলকানি হয়। নানান ওষুধ সেবনে কিছু কমে; কিন্তু শেষ হয় না। শেষ না হওয়ার কারণ এই পরজীবীর ডিমের বাসা অন্ত্রের ত্বকে লেগে থাকে, যা নির্মূল করা কঠিন।
কীভাবে কৃমি আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে
- কৃমির ডিম বা লার্ভামিশ্রিত অপরিষ্কার খাবার বা পানি পান করার মাধ্যমে এগুলো শরীরে ঢুকতে পারে।
- ভালোভাবে রান্না না করা মাংস, মাছ বা শাকসবজির মাধ্যমেও কৃমি ঢুকতে পারে।
- কৃমিতে আক্রান্ত ব্যক্তির মলমূত্রের মাধ্যমে এর ডিম মাটিতে মেশে। এরপর সেই মাটি থেকে ডিম বা লার্ভা মানুষের হাত বা খাবারের মাধ্যমে মুখে ঢোকে।
- কিছু কৃমির লার্ভা যেমন হুকওয়ার্ম, সরাসরি ত্বকের মাধ্যমে শরীরে ঢুকতে পারে, বিশেষ করে খালি পায়ে হাঁটলে।
- কৃমির ডিম বাতাসে মিশে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ঢুকতে পারে।
- মাছি বা অন্য পোকামাকড় খাবারের ওপর বসলে কৃমির ডিম খাবারের সঙ্গে মিশে শরীরে চলে যেতে পারে।
কৃমি মানবদেহে কী ক্ষতি করে
- কৃমি অন্ত্রে বসবাস করে। ফলে আক্রান্তরা প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। এর কারণে অপুষ্টি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ক্ষতিকর।
- কিছু কৃমি যেমন হুকওয়ার্ম, অন্ত্রের প্রাচীর থেকে রক্ত শোষণ করে এবং আয়রন ও প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি করে। এর দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ রক্তশূন্যতার কারণ হতে পারে, যা দুর্বলতা ও ক্লান্তি সৃষ্টি করে।
- প্রোটোজোয়া অন্ত্রের ভিলাই ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে শর্করা ও ফ্যাট শোষণে বাধা দেয়।
- কৃমির কারণে পেটে ব্যথা, গ্যাস ও হজমের সমস্যা হতে পারে।