
ইন্টারনেট গেমিং ডিজঅর্ডার থেকে মুক্ত থাকতে যা করবেন
www.ajkerpatrika.com
প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:৫৩
‘ডিজিটাল অন্তরঙ্গতা বাস্তব জীবনের প্রতি আগ্রহ নষ্ট করে। তাই শিশুরা যখন গেম খেলে অথবা জীবনসঙ্গীরা যখন গেমে মগ্ন হয়, তারা প্রকৃত ঘনিষ্ঠতার প্রতি আগ্রহ হারায়। শিশুরা পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও সংযুক্তির প্রয়োজন মেটানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে; যা তাদের ও মা-বাবার মধ্যকার সম্পর্ক ক্ষয় করে।’—গর্ডন নিউফেল্ড আধুনিক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ইন্টারনেট গেমিং ডিজঅর্ডারকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ সমস্যার মূলে রয়েছে গেমে আসক্তি। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন, সম্পর্ক ও স্বাস্থ্য ধ্বংস হতে পারে।
লক্ষণ কী কী—
শারীরিক ও মানসিক
- ঘন ঘন মাথাব্যথা, চোখে জ্বালাপোড়া, অনিদ্রা বা অতিরিক্ত ক্লান্তি।
- গেম বন্ধ করলে উদ্বেগ, রাগ বা বিষণ্নতা, উইথড্রয়াল সিম্পটম।
আচরণগত পরিবর্তন
- পরিবার, কাজ বা পড়াশোনায় অবহেলা।
- গেমিংয়ের জন্য মিথ্যা বলা বা গোপন করা।
- সামাজিক যোগাযোগ কমে যাওয়া।
- সময় ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা
- গেমিংয়ে অতিরিক্ত সময় দেওয়া, সময়ের হিসাব হারানো।
কারণগুলো হলো—
স্নায়বিক
- ডোপামিন নিঃসরণ: গেমিংয়ের সময় মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ বাড়ে, যা আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। এই রিওয়ার্ড সিস্টেমের অতিরিক্ত সক্রিয়তা আসক্তি তৈরি করে।
- প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের দুর্বলতা: মস্তিষ্কের এই অংশ সিদ্ধান্ত নেওয়া ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গেমে আসক্তদের ক্ষেত্রে এটি কম সক্রিয় থাকে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- মানসিক সমস্যা
- অনলাইন গেম