
মানসিক চাপ থেকে সার্বিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি
চাকরি, সংসার, সন্তান, ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা এইসব মিলিয়ে প্রতিনিয়ত ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এমনকি অনেকেই এটা মানতেই নারাজ যে তারা চাপের ভেতর আছেন।
তবে জানেন কি, এই চাপ শুধু মাথার ভেতর নয়, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে পুরো শরীরের ওপর। বিশেষ করে মূত্রথলি, হরমোন, ঘুম, যৌনস্বাস্থ্য এবং হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্ষমতায়।
‘ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা’স কলেজ অফ মেডিসিন’য়ের ইউরোলজিস্ট ডা. জামিন ব্রাক্ষ্মভাট সিএনএন ডটকমকে বলেন, “মানসিক চাপ এমন একটি বিষয়, যা প্রথমে বুঝতে না পারলেও এক সময় তা পুরো শরীরের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে।”
তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী চাপের পার্থক্য
মানসিক চাপ সাধারণত দুই ধরনের হয়: তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী।
তীব্র চাপ হল হঠাৎ করে ভয় বা উদ্বেগ তৈরি হওয়া, যেমন- পরীক্ষার আগে বুক ধড়ফড় করা বা হঠাৎ কোনো শব্দে চমকে ওঠা। এই চাপ সাধারণত কম সময় স্থায়ী হয় এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং এটা সতর্ক করে তোলে।
তবে দীর্ঘস্থায়ী চাপ অনেক বেশি ক্ষতিকর। আর্থিক সংকট, পারিবারিক সমস্যা, অফিসের চাপ বা স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তা করাই এই ধরনের চাপ তৈরি করে। এটি ধীরে ধীরে শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া
চাপ অনুভব করলে মস্তিষ্কের ‘হাইপোথ্যালামাস’ অংশ সক্রিয় হয়ে দুইটি প্রক্রিয়া চালু করে— ‘সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম’ এবং ‘হাইপোথ্যালামিক-পিটুইটারি-অ্যাডরিনাল (এইচপিএ) অ্যাক্সিস’।
এতে অ্যাড্রেনালিন ও কর্টিসল নামক দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়।
অ্যাড্রেনালিন শরীরকে তৎপর করে তোলে— হৃদস্পন্দন বাড়ায়, রক্তচাপ বাড়ায়, নিঃশ্বাস দ্রুত করে এবং পেশিতে রক্ত সরবরাহ বাড়ায়।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- স্বাস্থ্য ঝুঁকি
- মানসিক চাপ