
এই সময়ের সবচেয়ে দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার যার
২০০৬ সালে প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন শন উইলিয়ামস। প্রায় ১৯ বছর পর এসেছেন এবারও। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়স অবশ্য আরও বেশি। এতটাই বড় ক্যারিয়ার যে, বর্তমানে সক্রিয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ ক্যারিয়ার তারই। সুদীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে গৌরবময় অর্জন যেমন আছে তার, তেমনি জড়িয়েছেন অনেক বিতর্কেও। তিনি নিজে অবশ্য সেসব নিয়েও গর্ব করেন! বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিম্বাবুয়ের ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার শুনিয়েছেন তার ক্যারিয়ারের গল্প। সেখানে নানা বাঁকে উঠে এসেছে বাংলাদেশের অনেক প্রসঙ্গও।
সক্রিয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ ক্যারিয়ার এখন আপনার, জানেন এটা?
শন উইলিয়ামস: হ্যাঁ, কিছু জায়গায় দেখেছি। অনেকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছে।
এই অনুভূতি কেমন? গর্ব নিশ্চয়ই হচ্ছে, একটু বুড়োও কি মনে হচ্ছে নিজেকে?
শন উইলিয়ামস: ভালো লাগা উপচে পড়ার মতো অনুভূতি। খুবই গর্বিত এবং অভিভূত। বয়স হয়েছে বটে, তবে নিজেকে আমি বুড়ো ভাবতেই চাই না!
এতগুলো বছরে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলা উচিত ছিল, তা অবশ্য পারিনি। আরও অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো লাগত। নানা কারণেই হয়নি। এর অনেকগুলোই আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। তবে চোটের কারণে খুব লম্বা সময় বাইরে থাকতে হয়নি। পারফরম্যান্সের কারণেও বেশি সময় ছিটকে পড়তে হয়নি। এই তৃপ্তিগুলো আছে।
সত্যি বলতে, সহসাই নিজের শেষ দেখছি না। যতদিন পর্যন্ত দলের জন্য সঠিক কাজটি করে যাব, যে তরুণ ছেলেরা এখন খেলছে বা উঠে আসছে, ওদেরকে যতদিন সহায়তা করতে পারব… এসবই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য। এই দলের সামর্থ্য আছে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার। আমি সামনে থেকেই ওদের সঙ্গী হতে চাই।
শুরুর সময়টায় কি ভাবতে পেরেছিলেন, ২০ বছর পরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাবেন?
শন উইলিয়ামস: প্রশ্নই আসে না! একটুও ভাবতে পারিনি।
ক্যারিয়ারের শুরুতে এমনিতেই এটা ভাবা কঠিন। আমাদের বাস্তবতা আরও কঠিন ছিল। ওই সময়টায় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট রাজনৈতিকভাবে প্রচণ্ড টালমাটাল ছিল। সময়টা খুবই অস্থির ছিল।
তবে এটা আমাদের অনেককেই আরও শক্ত করে তুলেছিল। সেখান থেকেই আমরা গড়ে উঠেছিলাম। আমি জানি, ওই সময়ের অনেক ক্রিকেটারের কাছেও ওসব স্মৃতি খুবই তেতো এবং দুঃসহ। সেটি যৌক্তিক কারণেই। তবে আমাদের কয়েকজন ওই সময়টার কাছে ঋণী। আমি ওই দিনগুলি কখনোই ভুলব না। অনেক শিখেছি ক্রিকেট ও জীবন সম্পর্কে।