
আজ গেছি, প্রয়োজনে আরো শতবার যাব : তামিম ইকবাল
ক্রিকেট সমাজে ঢি ঢি পড়ে গেছে। তাওহিদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে গত কদিনে যা ঘটেছে, তা অভাবিত এবং হাস্যকরও। সবশেষ এপিসোডে যুক্ত হয়েছেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার সদলবলে বিসিবির কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
সভাশেষে জানা গেছে শাস্তির বাকি ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আগামী মৌসুমে কাটাবেন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। এই ঘটনায় দুটি ধারণা চাউর হয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে-
১। তামিমের দাপটে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত বদলেছে।
২। ক্রিকেটারদের দলভারি করে বিসিবির নির্বচনী শোডাউন করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। শুক্রবার রাতে তামিমের কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন সাইদুজ্জামান।
সবাই বলছে বিসিবির নির্বাচনের আগে একটা শোডাউন করলেন। শোনা যাচ্ছে আপনি প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট!
তামিম ইকবাল : কি বলেন এসব! প্রথমত আমি নির্বাচন করব কিনা, সেটাই তো ঠিক করিনি। আর যদি নির্বাচন করি, তাহলে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা দেন-দরবার করব। যাদের সঙ্গে গেছি, তারা তো ভোটার না!
ভোটের বাজারে এবার মোহামেডান বড় প্লেয়ার। আপনি সে দলের খেলোয়াড়। কেউ যদি বলে, সেই সূত্রে আপনি প্রতিবাদ করছেন?
তামিম ইকবাল : যদি তাই হতো, তাহলে আমি তো তাওহিদের শাস্তি ঘোষণার পরই প্রতিবাদ করতাম। তা তো করিনি। আমিও মাঠে তর্ক করে শাস্তি পেয়েছি। তাওহিদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সিম্পল। ছোট দলের স্বল্প পরিচিত ক্রিকেটারের জন্যও আওয়াজ তুলতাম। যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন।
তাহলে আজ কেন বলছেন যে তাওহিদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে?
তামিম ইকবাল : অবশ্যই অন্যায় হয়েছে। ওর প্রথমে এক ম্যাচ সাসপেনশন হয়েছিল। দ্যাটস ফাইন। কিন্তু এরপর ৭ ডিমেরিট পয়েন্টটা একটু বেশি হয়েছে। তারপরও আম্পায়ার, ম্যাচ অফিয়ালদের সিদ্ধান্ত আমাদের মানতে হবে।
তাওহিদের সঙ্গে অন্যায়টা কি হয়েছে, তা কিন্তু বলেননি।
তামিম ইকবাল : ওহ, অন্যায়টা হয়েছে আপনারা চিঠি দিয়ে ওকে খেলার অনুমতি দিলেন। আবার চাপে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালেন। এভাবে তো হয় না। ক্রিকেটাররা ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার। এখন এদের যদি আপনি তুচ্ছ মনে করেন তাহলে ক্রিকেট তো শেষ!