
বাংলাদেশ কি পারবে মার্কিন শুল্কের ধাক্কা মোকাবিলা করতে?
প্রায় এক শতাব্দী ধরে অপরিবর্তিত বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থা গত ২ এপ্রিল বড় ধাক্কা খায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমদানির ওপর বিশাল শুল্ক আরোপ করলে এই পরিবর্তনের ঢেউ আসে। কারণ 'আমেরিকা যখন হাঁচি দেয়, তখন বিশ্ব অর্থনীতি শীতল হয়ে যায়'।
শুল্কঝড়ের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে চীন। বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির এই দেশের পণ্যের ওপর শুল্ক পড়েছে ১৪৫ শতাংশ। বাংলাদেশের পণ্যের ওপর শুল্ক সেই তুলনায় অনেক কম হলেও তা একেবারে কম নয়। বিদ্যমান করের ওপর নতুন করে ৩৭ শতাংশ শুল্ক ধরা হয়েছে।
এই ঘোষণায় ব্যবসায়ীরা হতাশ। কার্যাদেশ কমেছে। ক্রেতারা ছাড় চাচ্ছেন। পুঁজিবাজারে ধস নেমেছে।
গত ৯ এপ্রিল রাত থেকে এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। ঠিক আগ মুহূর্তে ট্রাম্প তা ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেন। তা চীনের জন্য প্রযোজ্য নয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সব আমদানি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ নূন্যতম শুল্ক বহাল থাকছে।