ঢাকার মতো শহরে যেখানে প্রতি ইঞ্চি জায়গার মূল্য আকাশ-ছোঁয়া, সেখানে ছোট ঘরকে একটু প্রশস্ত দেখানোর চেষ্টা সকলের মধ্যেই থাকে।
ঘরের পরিসর বাড়ানো-তো চট করে সম্ভব নয়। তবে ঘরকে বড় দেখানো যায় এক সহজ কৌশলে— সঠিক রংয়ের ব্যবহারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্দরসজ্জার প্রতিষ্ঠান ‘টেইলর হ্যানা আর্কিটেক্ট ইনকর্পোরেট’–এর প্রতিষ্ঠাতা ডি ডি টেইলর ইউস্টেস রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “সাদা রং ব্যবহার করলে ঘর প্রশস্ত দেখায়। তবে পুরানো রং রেখে দিলে তা নতুন রংয়ের পাশে বিবর্ণ ও হলদেটে দেখাবে, যা ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করে।”
বিশুদ্ধ সাদা
সবচেয়ে প্রাথমিক এবং কার্যকর রং হল খাঁটি বা বিশুদ্ধ সাদা। এটি ঘরে আলো প্রতিফলিত করে এবং দেয়ালকে একত্র করে একটি খোলা পরিবেশ তৈরি করে।
ডি ডি টেইলর ইউস্টেস বলেন, “একই রংয়ের বিভিন্ন ‘ফিনিশ’ ব্যবহার করা ভালো। ছাদের জন্য সুপার ফ্ল্যাট, দেয়ালের জন্য ম্যাট, আর সজ্জার জন্য সেমি-গ্লস।”
এতে ঘরের মধ্যে ‘ভিজ্যুয়াল ডাইমেনশন’ তৈরি হবে, যা ঘরকে আরও প্রশস্ত দেখাবে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সাদা রং খুব কার্যকর। তবে ধুলাবালি ও আর্দ্রতার জন্য ‘ওয়াশেবল পেইন্ট’ বেছে নেওয়াই ভালো।
অফ-হোয়াইট বা হালকা ক্রিম
যদি একেবারে উজ্জ্বল সাদা রং পছন্দ না করেন, তাহলে অফ-হোয়াইট বা ক্রিম একটি চমৎকার বিকল্প। এটি ঘরকে আলোকোজ্জ্বল করে তোলে, আবার চোখেও লাগে না। ছোট রান্নাঘর কিংবা করিডোরে এই রং দুর্দান্ত কাজ করে। তবে ছাদে বা ‘মোল্ডিং’য়ে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা উচিত না। এতে ঘর বাক্সের মতো মনে হতে পারে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, দক্ষিণমুখী ঘরে ক্রিম রংয়ের ব্যবহার খুবই কার্যকর, কারণ সূর্যের আলো এতে সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হয়।
রত্নভরা গাঢ় রং
গাঢ় নীল, পান্না সবুজ বা বার্গেন্ডি লাল— এসব গাঢ় রং শুধু ‘ফিচার ওয়াল’য়ে ব্যবহার করলে ঘরে গভীরতা যোগ করে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ডিজাইন অন এ ডাইম ইন্টেরিয়র্স’–এর প্রতিষ্ঠাতা মেলোডি স্টিভেন্স বলেন, “ফিচার ওয়াল’ তৈরি করে দৃষ্টি আকর্ষণের একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট তৈরি করা যায়, যা ঘরকে ভারসাম্য দেয় এবং প্রশস্ত দেখায়।”
ছোট ঘরের একটি দেয়ালে গাঢ় রং আর বাকি তিন দেয়ালে হালকা রং ব্যবহার করলে এক ধরনের ব্যালেন্স তৈরি হয়।