প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য: কতটা কাজে আসবে সংস্কার প্রস্তাব
নজিরবিহীন গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা এবং এর দানবীয় অপব্যবহারের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়ের একটি। সন্দেহ নেই, ২০১১ সাল থেকে গণতন্ত্র ও সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার দোহাই দিয়ে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিলেন শেখ হাসিনা, যেখানে তাঁর কথাই ছিল সব। গণতন্ত্র রক্ষায় রাষ্ট্রীয় যেসব প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করার কথা, সেসব প্রতিষ্ঠান বলে কিছুই ছিল না তাঁর শাসনামলে। অনেকটা হীরক রাজার দেশ ছিল বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনা ছিলেন ‘হীরকের রাজা ভগবান’।
শেখ হাসিনার দুঃশাসনের জন্য অনেকেই বর্তমান সংবিধানকে দায়ী করেছেন। আবার কেউ ঢালাওভাবে ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানকে দায়ী করে চলেছেন। কিন্তু আমরা ভুলে যাচ্ছি, সংবিধান তো একা একা কার্যকর হয় না—রাজনীতিবিদ এবং অন্য অংশীজনেরাই প্রয়োগ করেন; কখনো সঠিকভাবে, কখনো ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং দলীয় সুবিধার জন্য।
পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় এসে দুটি বিষয়ে ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করে চলেছে। একটি হলো সংবিধান এবং অপরটি নির্বাচন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং সমস্যা দুটি ক্রমশ প্রকট হয়ে চলেছে। শেখ হাসিনার পতনের পরবর্তী সময়েও এর ব্যতিক্রম হয়নি।