You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ভারতে উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন বাড়ছে কেন

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারতীয় রাজনীতি একটি ইস্যুতে বিতর্কে উত্তাল হয়েছে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চলছে, সে ঘটনাটি এখন পর্যন্ত ঘটেনি। সেটি হলো সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে একটি নতুন জনশুমারির পর এটি বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলো মনে করছে, এই পরিবর্তনের ফলে রাজনৈতিক ক্ষমতার ভারসাম্য অন্যায্যভাবে উত্তরাঞ্চলের দিকে ঝুঁকে যাবে।

লোকসভায় (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) সাধারণত আসনসংখ্যা জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। জনসংখ্যা বেশি হলে আসনসংখ্যাও বেশি হয়। যেহেতু লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে সরকার গঠন করা সম্ভব, তাই বৃহত্তর জনসংখ্যা একটি বড় রাজনৈতিক সুবিধা এনে দেয়। তবে মাত্রাহীন জনসংখ্যা বৃদ্ধি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ কারণে ১৯৭৬ সালে ভারত আসন পুনর্বিন্যাস (সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রক্রিয়া) স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে রাজ্যগুলো ধীরগতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির নীতি অনুসরণ করলেও রাজনৈতিক ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা না থাকে।

প্রথমে এই স্থগিতাদেশ ২০০১ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা ছিল। কিন্তু একটি সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। ফলে বর্তমানে যে সীমারেখা অনুযায়ী আসন ভাগাভাগি হচ্ছে, তা ১৯৭১ সালের জনশুমারির ভিত্তিতে নির্ধারিত।

এই সময়কালের মধ্যে ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলো তাদের জন্মহার প্রতিস্থাপন-হার (রিপ্লেসমেন্ট লেভেল) পর্যন্ত নামিয়ে এনেছে বা তার নিচে নিয়ে গেছে এবং মানব উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। এই উন্নতির মধ্যে রয়েছে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস এবং লিঙ্গসমতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলো এই সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া জাতপাতপ্রথা, বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকেও উত্তর ভারতের অবস্থা তুলনামূলকভাবে খারাপ। তবে এই অঞ্চলের জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে।

আসন পুনর্বিন্যাস স্থগিত রাখার নিয়ম ছিল ২০২৬ সালের পর প্রথম জনশুমারি পর্যন্ত। তবে বর্তমানে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা এই স্থগিতাদেশ আর বাড়ানোর পক্ষপাতী নয়। এর পরিবর্তে তারা জনশুমারি পরিচালনা করতে চায় (যে শুমারিটি ২০২১ সালে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বারবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে) এবং এরপর ভারতের নির্বাচনী মানচিত্র নতুন করে নির্ধারণ করতে চায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন