
যে ৭ ধরনের বিশ্রাম দরকার সবারই
দিনের ২৪ ঘণ্টার হিসাব করতে গেলে মাঝেমধ্যে কি থমকে যান? বাড়ি থেকে অফিস, অফিস থেকে বাড়ি, বাজার, রান্না, ঘরের কাজ, সন্তান থাকলে তার দেখভাল—এ সব কাজই প্রতিদিনের। এর থেকে পালিয়ে বেড়ানো যায় না। এই কাজগুলোর মধ্যেই আপনাকে সময় বের করতে হবে নিজে ভালো থাকার জন্য। সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা কেটে যায় চোখের পলকে। রয়ে যায় ক্লান্ত মন আর শরীর। সুযোগ বুঝে বিশ্রাম নিতে হবে, সাত ধরনের বিশ্রাম। ফলাফল হিসেবে পাবেন সামাজিক, ব্যক্তিগত, মানসিক, শারীরিকভাবে শান্তি আর আরাম। আয়নায় তাকালে জরাজীর্ণ, ক্লান্ত মনের বদলে পাবেন সতেজ অনুভব। আগে যে কাজগুলো বাড়তি আর ঝামেলার মনে হতো, সেগুলো করতেও আর খারাপ লাগবে না।
শারীরিক বিশ্রাম
শারীরিক বিশ্রামের প্রয়োজন। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কাজ না করাই ভালো। যদি আট কিলোমিটার দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে চার কিলোমিটারে কমিয়ে আনুন। আবার না দৌড়ে হাঁটতেও পারেন। শরীরের সঙ্গে কথোপকথন থাকা খুব জরুরি। শরীরই বলে দেয় কী চাচ্ছে সে। আট ঘণ্টার ঘুম না হলে ক্লান্ত বোধ করবেন সারা দিন। এ তো গেল অনেকটা নিষ্ক্রিয় শারীরিক বিশ্রাম। পাশাপাশি প্রয়োজন সক্রিয় শারীরিক বিশ্রামও। তালিকায় চলে আসবে যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং আর ম্যাসাজ থেরাপির মতো কর্মকাণ্ডগুলো। এগুলো শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে এবং নমনীয়তা ধরে রাখতে ভালো সহায়তা করে।
মানসিক বিশ্রাম
ঘুমাতে যাওয়ার আগে সারা দিনের ঘটনাগুলো বারবার মনে পড়া, দুঃস্বপ্ন দেখা বা ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্ত অনুভব করেন অনেকে। এই অবস্থা যদি দিনের পর দিন হতে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে, মানসিকভাবে আপনি ক্লান্ত। প্রয়োজন মানসিক বিশ্রামের। মানসিকভাবে বিশ্রামের অভাব হলে কোনো কাজ করতেও কিন্তু ইচ্ছা করে না। খুব ছোট একটা কাজ করলেই মানসিকভাবে সতেজ বোধ করবেন। এর জন্য চাকরি ছাড়ার বা ছুটিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দুই ঘণ্টা পরপর বিশ্রাম নিন। এ সময় চাইলে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ ধ্যান করতে পারেন। এই বিরতিটুকু ধীরগতিতে কাজ করার কথা মনে করিয়ে দেবে। যেসব চিন্তা আপনাকে বিরক্ত করে যাচ্ছে, বিছানার পাশে নোটপ্যাডে সেগুলো লিখে রাখুন। অনেকটা হালকা বোধ করবেন। অনেকের গোসল করার সময় মাথায় ইতিবাচক চিন্তা বা কোনো কাজের বুদ্ধি আসে। এর কারণ, তখন আপনি মানসিকভাবে আরাম বোধ করেন।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- বিশ্রাম
- সুস্থ জীবনযাপন