
‘ফ্লাডলাইটিং’: প্রেমপর্বের নতুন বিপদ
প্রেমপর্ব বা ‘ডেইটিং’ জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, ‘শেয়ার করা উচিত কি না?’ আর এমন প্রশ্ন মূলত একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তে আসে, যখন পছন্দের মানুষকে নিজের জীবন, অনুভূতি বা অতীত সম্পর্কে কিছু কিছু তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হয়।
তবে কখনও কখনও, সম্পর্কের প্রথম দিকেই অতিরিক্ত ‘শেয়ারিং’ বা অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আর এই ধরনের আচরণকেই বলা হয় ‘ফ্লাডলাইটিং’।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে টিকটক এবং ‘জেন জি’ সংস্কৃতির মধ্যে, ‘ফ্লাডলাইটিং’- একটি জনপ্রিয় শব্দ হিসেবে উঠে এসেছে।
এই শব্দের মাধ্যমে এমন একটি আচরণ বর্ণনা করা হয় যেখানে সম্পর্কের প্রথম দিকেই অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিজের গোপন বা খারাপ অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে ফেলা হয়।
এর মধ্যে পড়ে অতীতের সম্পর্কের সমস্যা বা ব্যক্তিগত ‘ট্রমা’ বা দুর্ঘটনা। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস এবং নিরাপত্তা গড়ে তোলার আগে অতিরিক্ত তথ্য আদান প্রদান করা ভিন্ন মাত্রার অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
‘ফ্লাডলাইটিং শব্দটি আসলো যেখান থেকে
এই শব্দ প্রথম ব্যবহার করেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ও লেখক ব্রনে ব্রাউন, যিনি তার ‘দ্য পাওয়ার অব ভালনারেবিলিটি: টেকনিকস অফ অথেন্টিসিটি, কানেকশন অ্যান্ড কারেজ’ বইতে ফ্লাডলাইটিং সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
তার মতে, “সম্পর্কের প্রথম দিকে এত বেশি তথ্য ভাগাভাগি করার মধ্যে আসলে কোনো সত্যিকারের অনুভূতি বা সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। বরং নিজের ভেতরের সুরক্ষার অভাব বা ভয় থেকে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক রক্ষার কৌশল হয়ে দাঁড়ায়।”
- ট্যাগ:
- লাইফ
- ডেটিং
- প্রেমের সম্পর্ক