
গুতেরেস-ইউনূসে চতুর্মুখী ম্যাজিক
চার দিনের কর্মব্যস্ত সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে বরণ করেছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। আর রবিবার বিদায় জানান পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার ঢাকা পৌঁছেই শুরু হয় আন্তোনিও গুতেরেসের কর্মব্যস্ততা। পরদিন শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সঙ্গী করে চলে যান কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দেখতে এবং তাদের সঙ্গে ইফতার করতে। এ সময়টায় সেরেছেন আরও অনেক কর্মযজ্ঞ। আরেক কর্মযজ্ঞে মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সরকারি তরফে বলা হচ্ছে, এই সফর বাংলাদেশের চীন-সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। এতে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হবে।
হিসাব বা সমীকরণ এত সাদামাটা? আগে-পরে কি কোনো কথা নেই? নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, মার্কিন, চীন খুব প্রাসঙ্গিক। ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যও। গুতেরেসের বাংলাদেশ আর ইউনূসের চীন সফর নিয়মতান্ত্রিক স্বাভাবিক সফর, নাকি পেছনে নানা কূটনীতি এ প্রশ্ন কূলকিনারাহীন। এর আগে, জুলাই-আগস্ট, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। পরে সংস্কারের পক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিবের সমর্থন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অংশগ্রহণে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে আয়োজিত ইফতার মাহফিল, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের চীন সফরের সময় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বিশেষ বৈঠক, ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ আইএসপিআরের সব মিলিয়ে বিরাট গোলকধাঁধা।