গ্যাস সংকটের এই সময়ে একটি বৈধ সংযোগ পেতে দুর্ভেদ্য আমলা চক্রের বাধার মুখে পড়তে হলেও অবৈধ সংযোগ দেওয়া থেমে নেই।
একদিকে লোক দেখানো অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযান চলে, অন্যদিকে এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গতিতে চলে চক্রগুলোর অবৈধ সংযোগ দেওয়ার তৎপরতা।
বিপুল গ্যাস চুরিকেও সিস্টেম লস দেখিয়ে কার্যত এই চোর চক্রকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা।
১৯৯৬ সালের একটি আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসকে ২ শতাংশ সিস্টেম লস হিসাব করার সুযোগ দিচ্ছে। কিন্তু সিস্টেম লস বেড়েছে এর কয়েকগুণ, অর্থাৎ কমে আসার পরিবর্তে চুরির কারণে সিস্টেম লস বছর বছর বাড়ছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি এর গত ডিসেম্বরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই মাসে সিস্টেম লস হয়েছে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। তখন দৈনিক প্রায় ১৩৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেয়েছিল তিতাস। বিক্রি দেখানো হয়েছে দৈনিক প্রায় ১১৮৯ মিলিয়ন ঘনফুট।