
গর্ভাবস্থায় স্কোলিওসিস
মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক গঠন এতে এক পাশে বাঁকা হয়ে ইংরেজি লেটার এস (S) আকৃতির হয়ে যায়। রোগের প্রাথমিক ও মধ্যম অবস্থায় ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি ও ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়। যদি তীব্র মাত্রার হয়, তখন অস্ত্রোপচার দরকার পড়ে। তবে এর আগে-পরে স্পাইনাল মাংসপেশি ও লিগামেন্টের ব্যাপ্তি বজায় রাখতে ফিজিওথেরাপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গর্ভাবস্থায় স্কোলিওসিসে আক্রান্ত হতে পারে। অথবা আগে থেকে স্কোলিওসিসে আক্রান্ত হলে লক্ষণগুলোর ভয়াবহতা আরো বাড়িয়ে দেয়। সে সময় পেটে চাপ বাড়ে, হরমোনের পরিবর্তন এবং অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। তবে গর্ভাবস্থায় স্কোরিওসিসে আক্রান্তের ঘটনা বিরল, তাও এ সময় লক্ষ রাখা জরুরি। গর্ভাবস্থায় এ রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত প্রসবের পর তা সমাধান হয়ে যায়। ফিজিওথেরাপি এবং সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম গর্ভাবস্থায় স্কোলিওসিসের লক্ষণগুলো কমিয়ে আনতে সাহায্য করে । স্কোলিওসিসের সাধারণ শারীরিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঁধ, কোমর ও নিতম্ব একটির তুলনায় অন্যটি বেশি উঁচু বা অসমান দেখানো। এছাড়া ফুসফুস ও হার্ট ফাংশনের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব থাকে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- গর্ভাবস্থা
- স্কোলিওসিস