অপরাধ প্রতিরোধে অন্যান্য দেশ কীভাবে কাজ করে?

ঢাকা পোষ্ট মো. মাজহারুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১৯:১৯

কিশোর অপরাধ বলতে সাধারণত এমন অপরাধকে বোঝানো হয় যা কোনো কিশোর বা কিশোরী (যার বয়স ১৮ বছরের নিচে) দ্বারা সংঘটিত হয়। এই অপরাধগুলো শারীরিক, মানসিক বা সামাজিকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


কিশোর অপরাধের মধ্যে চুরি, মারামারি, মাদক সেবন, বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা বা এমনকি হত্যা পর্যন্ত হতে পারে। বাংলাদেশে কিশোর অপরাধের জন্য একটি বিশেষ আইন রয়েছে, যা কিশোরদের সংশোধন ও পুনর্বাসন করতে সহায়তা প্রদান করে। এই আইনটি হলো ‘কিশোর আদালত আইন, ২০১৩’ (The Children Act, 2013)।


এটি শিশু এবং কিশোরদের অপরাধের বিচার এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য প্রণীত হয়েছে। আইনটি কিশোরদের জন্য একটি বিশেষ বিচার ব্যবস্থার ব্যবস্থা করে, যা সাধারণ আদালতের বিচার ব্যবস্থার তুলনায় একটু ভিন্ন। এছাড়া বাংলাদেশ দণ্ডবিধি (১৯৬০) এরও কিছু ধারায় কিশোর অপরাধীদের বিচার করার নিয়ম রয়েছে, তবে কিশোরদের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে আলাদা বিচারিক ব্যবস্থা এবং বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়।


কিশোর অপরাধের ধরন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যা কিশোরদের বয়স, সামাজিক পরিবেশ, পারিবারিক অবস্থা, মানসিক অবস্থা এবং পারিপার্শ্বিক প্রভাবের ওপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত, কিশোর অপরাধের কিছু মূল ধরন দেখা যায়। প্রধানত, কিশোররা প্রায়ই একে অপরের সাথে মারামারি, আঘাত বা শারীরিক সহিংসতা ঘটায়। অনেক সময় বন্ধুবান্ধবীর মধ্যে ঝগড়া বা উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার ফলে সহিংসতা ঘটে।


এছাড়াও তারা অর্থ বা বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে, যা তাদের অপরাধমূলক কার্যকলাপে প্ররোচিত করে। কিশোরদের মধ্যে মাদকদ্রব্য সেবন এবং মাদক বেচাকেনার প্রবণতা বাড়ছে। বন্ধুত্ব বা সমাজের প্রভাবের কারণে অনেক কিশোর মাদক সেবন শুরু করে এবং অনেক সময় মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়ে।



কিশোরদের মধ্যে যৌন অপরাধও দেখা যায়, যা তারা পারিবারিক বা সামাজিক অস্থিরতা বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অশালীন বিষয়গুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে এ ধরনের অপরাধে জড়িত হতে পারে। বর্তমান সময়ে কিশোররা স্কুলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, যেমন শিক্ষককে অপমান, সহপাঠীদের সাথে মারামারি বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ।


এই ধরনের অপরাধ প্রায়ই মনোবিদ্যা বা পারিবারিক সমস্যার ফলস্বরূপ ঘটে থাকে। যা সিগমুন্ড ফ্রয়েড তার সাইকো ডাইনামিক থিওরি (১৯৮৬) তে উপস্থাপন করেছেন। কিশোররা আবার অকারণে গাড়ি, ঘর বা বিভিন্ন উপকরণ ভাঙচুর করতে পারে। এই ধরনের অপরাধ সাধারণত ক্ষোভ বা দুঃখ থেকে আসে এবং এতে তারা আনন্দ পায়।


কখনো কিশোররা অপরাধী গ্যাং বা বাহিনীর সদস্য হয়ে ওঠে, যেখানে তারা অবৈধ কার্যকলাপ যেমন চুরি, আক্রমণ, মাদক ব্যবসা এবং অন্য কোনো ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কিশোর অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক ধরন হলো হত্যাকাণ্ড বা গুরুতর আক্রমণ। যদিও এটি কম ঘটে, তবে কিছু কিশোর তাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা ক্রোধের কারণে হত্যার মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সমসাময়িক সময়ে আমরা প্রায় এর প্রতিটা ধরনই বাংলাদেশে লক্ষ্য করছি।


কিশোর অপরাধের পেছনে নানা ধরনের কারণ থাকতে পারে, অনেক কিশোর তাদের পরিবারে ঠিকমতো যত্ন বা সমর্থন পায় না। পিতামাতার অযত্ন, শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার অথবা একক অভিভাবক (যেমন মা অথবা বাবা) থাকার কারণে তারা অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়ে। জন বোলবি তার সংযুক্তি থিওরি (Attachment Theory, 1995) এই সমর্থন ও ভালোবাসার প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপন করেছেন।


এছাড়াও পারিবারিক সহিংসতা বা মাদক সেবন, পরিবারে বিবাহবিচ্ছেদ অথবা মাদকাসক্তি কিশোরদের মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে, ফলে তারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সামাজিকভাবে কিশোররা প্রভাবিত হতে পারে খারাপ বন্ধু বা অপরাধী গ্যাং দ্বারা। বন্ধুবান্ধবের প্রভাব অনেক সময় তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দিকে ঠেলে দেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও