
৩৩ মন্ত্রীসহ আ.লীগের দুই শতাধিক এমপি লাপাত্তা
গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক ১৮ মন্ত্রী, ১৩ প্রতিমন্ত্রী, একজন উপমন্ত্রী, স্পিকার, চিপ হুইপ-হুইপসহ আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক সংসদ-সদস্য এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই লাপাত্তা তারাও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেউ কেউ ইতোমধ্যে সুযোগ বুঝে দেশের বাইরে চলে গেলেও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সংসদ-সদস্য দেশের ভেতরেই লুকিয়ে আছেন। অভিযোগ রয়েছে, এরা আত্মগোপনে থেকেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এমনকি বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করতেও তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছিলেন গোপালগঞ্জ-৩ আসনের। তিনি আছেন ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও রংপুর-৬ আসনের ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ঢাকাতেই আত্মগোপনে আছেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক ও যোগাযোগমন্ত্রী এবং নোয়াখালী-৫ আসনের ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে। সব সময় নানা বিষয়ে মিডিয়ার সামনে অসংলগ্ন কথা বলা এই রাজনীতিক ৫ আগস্টের পর থেকেই লাপাত্তা।
এছাড়াও আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য এবং আলোচিত সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা-১২ আসনের আসাদুজ্জামান খান কামাল (ভারত), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা-১৩ আসনের জাহাঙ্গীর কবির নানক (ভারত), সাবেক অর্থমন্ত্রী ও দিনাজপুর-৪ আসনের আবুল হাসান মাহমুদ আলী (যুক্তরাষ্ট্র), সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ও দিনাজপুর-৫ আসনের মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং পিরোজপুর-১ আসনের অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম (লন্ডন), আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, চট্টগ্রাম-৭ আসনের ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (বেলজিয়াম), সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (যুক্তরাষ্ট্র), সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাইফুজ্জামান চৌধুরী (লন্ডন), সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং নেত্রকোনা-২ আসনের আশরাফ আলী খান খসরু (ভারত), সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী ও গাজীপুর-১ আসনের আ ক ম মোজাম্মেল হক (ভারত), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ও ফরিদপুর-১ আসনের আব্দুর রহমান (ভারত), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেকমন্ত্রী, শেখ হাসিনার আত্মীয় ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের শেখ ফজলুল করিম সেলিম (ঢাকা), সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ আসনের মুজিবুল হক মুজিব (আগরতলা), সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী এবং চাঁদপুর-২ আসনের মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (ভারত), সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাবেক একেএমএ আবুল মোমেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১০ আসনের আ হ ম মুস্তাফা কামাল, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এবং মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ-সদস্য জাহিদ মালেক।