ইন্টারনেট শাটডাউন: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও আমাদের করণীয়

প্রথম আলো সাহেদ আলম প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৮

জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলন যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই হঠাৎ সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইন্টারনেটহীন সময়টায় সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগে ব্যাংকিং খাতে। অনলাইন লেনদেন বন্ধ থাকায় ব্যাহত হয় ব্যবসায়িক কার্যক্রম, পেমেন্ট প্রসেসিং থমকে যায়, গ্রাহকেরা জরুরি লেনদেন করতে না পেরে চরম দুর্ভোগে পড়েন। বিকাশ, নগদ বা রকেট কার্যত অচল হয়ে পড়ে।


শুধু তা–ই নয়, দেশের ই-কমার্স খাতও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ে। ক্রেতারা অনলাইনে কেনাকাটা করতে না পারায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হন হাজারো উদ্যোক্তা। সবচেয়ে করুণ অবস্থা হয় প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সারের, যাঁরা আন্তর্জাতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।


এককথায়, মোট ১১ দিন ধরে গোটা অর্থনীতি যেন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। শহর থেকে গ্রাম—সর্বস্তরের মানুষকে এই ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতার জন্য চরম ভোগান্তি সহ্য করতে হয়। প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান বিশ্বে এমন সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।


অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানুষের মধ্যে একটি প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। যদি একান্ত প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে ইন্টারনেট শাটডাউনের মতো চরম পদক্ষেপগুলো যেন নিয়মতান্ত্রিক স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সংশোধিত টেলিযোগাযোগ আইন শিগগিরই অধ্যাদেশ আকারে আসার কথা। শোনা যাচ্ছে, সেখানেও ইন্টারনেট শাটডাউন করার বিষয়ে কিছু উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি।



কর্তৃত্ববাদী সরকারের শৃঙ্খল ভেঙে দেশ এগিয়ে যাওয়ার মূল ভিত্তি হচ্ছে স্বচ্ছতা। এ বিষয়ে আমরা খুব সহজেই পৃথিবীর নানা দেশের উদাহরণ থেকে শিক্ষা নিতে পারি।


জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ইন্টারনেটের সহজলভ্যতাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অর্থাৎ যথেচ্ছভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইনি বিধান রয়েছে। তার বেশির ভাগই নির্দিষ্ট কিছু অভিন্ন মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট বন্ধের উদাহরণগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সরকার যত বেশি স্বেচ্ছাচারী হবে, এসব ক্ষেত্রে অস্বচ্ছ হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি হবে।


ভারতে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৯৭৩–এর ধারা ১৪৪ এবং টেম্পোরারি সাসপেনশন অব টেলিকম সার্ভিসেস রুলস, ২০১৭-এর ওপর ভিত্তি করে ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারকে ২০১৭ বিধির অধীনে উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করে এবং রাজ্য বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে লিখিতভাবে আদেশটি জারি করতে হবে। পরিস্থিতি জরুরি হলে কমপক্ষে একজন যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা আদেশ জারি করতে পারেন, তবে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি কমিটি দ্বারা এর যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করতে হবে।


সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চায়না চীনে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ। সাইবার নিরাপত্তা আইন (২০১৭), রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন এবং জাতীয় নিরাপত্তা আইন অনুসারে চীনের ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি পরিচালিত হয়। ‘দ্য গ্রেট ফায়ারওয়াল’ নামের চীনের কঠোর ইন্টারনেট সেন্সরশিপ ব্যবস্থা গুগল, ফেসবুক, টুইটারের মতো অনেক বিদেশি ওয়েবসাইট ও প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে রেখেছে। কর্তৃপক্ষ বিচার বিভাগীয় তদারকি ছাড়াই ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ বা ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও