
মটরশুঁটি জেনে বুঝে খাবেন
শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম মটরশুঁটি। মটরশুঁটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ভিটামিন ও মিনারেলস ভরপুর এই সবজি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফাইবার সাহায্য করে হজমে। কিন্তু অন্যান্য সবজির মতোই মটরশুঁটিরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। অতিরিক্ত মটরশুঁটি খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন গ্যাসের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটি।
মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং স্টার্চ থাকে। যদিও এই পুষ্টি উপাদানগুলো শক্তি সরবরাহ করে, অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে ওজন বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি মটরশুঁটিতে পিউরিন নামক একটি পদার্থ পাওয়া যায়। যা শরীরে ভেঙে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা আর্থ্রাইটিস, গেঁটেবাত এবং কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, যারা আর্থ্রাইটিস বা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের মটরশুঁটি কম খাওয়া। মটরশুঁটিতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। প্রোটিন ভেঙে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণের জন্য কিডনিকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তাই কিডনি রোগে ভুগছেন, এমন ব্যক্তিদের মটরশুঁটি কম খাওয়া। মটরশুঁটিতে অ্যালার্জি হতে পারে। মটরশুঁটির অ্যালার্জির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মুখ বা গলায় চুলকানি, ফোলাভাব, ফুসকুড়ি, পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। মটরশুঁটি খাওয়ার পর যদি এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনটি লক্ষ্য করেন, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত ফাইবার পেট ফাঁপা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। মটরশুঁটিতে অল্প পরিমাণে চিনি থাকে, যা শরীরে হজম হতে বেশি সময় নেয়, যার কারণে হজমের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।