![](https://media.priyo.com/img/500x/https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2025/02/07/indiatv1ef1a9_istock_000006846493small1-f.jpg)
শিশুকে মারধর করে যেসব ক্ষতি করছেন
শিশুকে শাসন করার নামে মারধর বা শারীরিক নির্যাতন শিশুর মানসিক বিকাশের অন্তরায়। শিশুর গায়ে তোলার ক্ষতিকর দিক এবং শিশুর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণে করণীয় সম্পর্কে জানিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
শিশুর গায়ে হাত তোলায় কী সমস্যা হতে পারে
বাবা-মায়েদের জন্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, সন্তানের কোনো আচরণকে পরিবর্তন করতে হলে তার গায়ে হাত তোলা যাবে না। বরং তার ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করতে হবে এবং নেতিবাচক আচরণের দিকে মনোযোগ কমাতে হবে। শিশুকে মারধর বা গায়ে হাত তোলা হলে ২ ধরনের সমস্যা হয়। যেমন- তাৎক্ষণিক সমস্যা এবং দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা।
তাৎক্ষণিক সমস্যা
শিশুকে মারধর বা গায়ে তোলার কারণে তাৎক্ষণিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে শিশুর ভেতর ভীতি তৈরি হয়ে, আতঙ্ক তৈরি হয় এবং যারা তার গায়ে হাত তো তাদের প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণা তৈরি হয়। ফলে শিশুটি আতঙ্কে থাকে এবং এই ভীতির কারণে তার নানা রকম মানসিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। শিশু তীব্র মানসিক চাপে পড়তে পারে, উদ্বিগ্নতা হতে পারে, বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারে, পড়ালেখায় মনোযোগ কমে যেতে পারে। এমনকি সে বিছানায় প্রস্রাব করার মত ঘটনাও ঘটাতে পারে। ৫ বছর বয়সের বেশি শিশু যার বিছানায় প্রস্রাব করা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, গায়ে হাত তোলার কারণে আবার বিছানায় প্রস্রাব করা শুরু হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা
শিশুর গায়ে হাত তোলার কারণে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার মধ্যে রয়েছে শিশুর ভেতর ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হওয়া। ব্যক্তিত্বের পরিবর্তনের অর্থ হচ্ছে শিশুর চিন্তা, আচরণ, ভাবনা, আবেগ সবকিছু একটু এলোমেলো হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে পরিণত বয়সে। এছাড়া পরিণত বয়সে সে নিজেও একজন নির্যাতক হতে পারে অর্থাৎ অপরকে নির্যাতন করা আর সেটি শিশুদের ক্ষেত্রে হতে পারে, পরিবারের সদস্যদের অথবা রাস্তাঘাটে হতে পারে। অর্থাৎ অন্যের গায়ে হাত তোলা, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা শিশুর মধ্যে বেড়ে যেতে পারে।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- শাসন
- মারধর
- শিশুর বেড়ে উঠা