তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের এই ‘বাড়াবাড়ি’ কেন

প্রথম আলো রাফসান গালিব প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:২৫

তিতুমীর সরকারি কলেজের আন্দোলনকারী ‘কতিপয়’ শিক্ষার্থী কী শুরু করেছেন? কতিপয় বলার কারণ, এ কলেজের শিক্ষার্থী প্রায় অর্ধলক্ষ। সেই অর্থে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ‘কতিপয়’ই বলতে হয়।


এখন, একটা কলেজকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ করার দাবিতে তাঁরা যা যা করছেন, তা কি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পড়ে না? তারা কি বুঝছেন না শুধু রাজধানীবাসীই নয়, গোটা দেশের মানুষ তাঁদের ওপর বিরক্ত হচ্ছে? তাঁরা কি দেখছেন না তাঁদের দাবি নিয়ে ফেসবুকে যা যা তাঁরা প্রচার করছেন, সেখানে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্টের বন্যা বয়ে যাচ্ছে?


এসব প্রশ্ন শুধু আমার নয়, অসংখ্য মানুষের। যেখানেই যাই তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে প্রসঙ্গ উঠলেই ক্ষোভের সঙ্গে এসব প্রশ্ন চলে আসে। এরপর তাঁদের এ আন্দোলন হাসি–ঠাট্টা–তামাশা, হালের ভাষায় যাকে বলে ‘ট্রল’। বিষয় হচ্ছে, একটি কলেজের শিক্ষার্থী নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে কেন এতটা ‘বেপরোয়া’ হয়ে উঠেছেন? তাঁরা তো জেনেশুনে বা জেনেবুঝে কলেজেই ভর্তি হয়েছিলেন।


কিছুদিন আগে দেখলাম, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করে দিয়েছেন। কলেজগেটে কলেজের নামফলক ঢেকে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে। এ নিয়ে কী এক তামাশা তৈরি হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেন তাঁরা এভাবে নিজেদের হাসির পাত্র বানাচ্ছেন?



তাঁদের আন্দোলনের কারণে চরম ভোগান্তি হয়ে মানুষজনের কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়াও আসছে—চাকরির বাজারে তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের সিভি খুলেও দেখবে না কেউ। কতটা ক্ষোভ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া আসতে পারে তা কেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বুঝছেন না? এমন আন্দোলন করে তাঁরা কি ভবিষ্যতের জন্য আরেকটি বিপদ ডেকে আনছেন না?


প্রশ্ন হচ্ছে, হাতের মুঠোয় বিশ্বের এই যুগে পড়াশোনা বা ক্যারিয়ারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তে হবে কেন? তাঁদের কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই হতে হবে। তাঁরা কি জানেন না, দেশে জেলায় জেলায় গড়ে তোলা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কী অবস্থা এখন? এতেই তো ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী’ বলে পরিচয় জাহির করার যে গর্ব, সেটি লজ্জায়– অপমানে মিশে যাওয়ার কথা।


এর পরেও কোনো কলেজকে প্রয়োজনে সরকার বা নীতিনির্ধারকেরা বিশ্ববিদ্যালয় বানাতেই পারে; কিন্তু শিক্ষার্থীরা কী করে সে দাবি তোলেন?


শিক্ষক নেই, শিক্ষক লাগবে; ল্যাব নেই ল্যাব লাগবে; হোস্টেল নেই, হোস্টেল বাড়াতে হবে; লাইব্রেরি ছোট, আরও বড় করতে হবে; মিলনায়তন ছোট, আরও বড় করতে হবে, খেলার মাঠ নেই, সেটি লাগবে—এই রকম অসংখ্য দাবি আছে, সেগুলো তুলতে পারেন তাঁরা।


শিক্ষার মান ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করতে এসব তো ন্যায্য দাবি। আর এসব দাবি তো শিক্ষার্থীরাই তুলবেন। এসব সংকটের সুরাহা না করলে সেই প্রতিষ্ঠান কলেজ হলেও কী, আর বিশ্ববিদ্যালয় হলেও কী!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও