বিএনপির জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ কি ছাত্রদের নতুন দল

www.ajkerpatrika.com আমীন আল রশীদ প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:২০

জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকেই দ্রুত নির্বাচন এবং অন্তর্বর্তী সরকার যাতে বেশি দিন ক্ষমতায় না থাকে, সে বিষয়ে সোচ্চার বিএনপি। এমনকি সরকার যেসব প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলোও নির্বাচিত সরকার ছাড়া বাস্তবায়ন করা যাবে না বলে দলটি মনে করে। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, যত দ্রুত নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। কেননা, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারছে না। কোথাও সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। যে কারণে তারা মনে করে, দ্রুত ‍নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা ভরসা পাবেন। তাতে দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঠিক হবে।


নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির এই তাড়ার পেছনে মূল কারণ বোধ হয় এই যে, তারা আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছর এবং তার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরসহ ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে। আর যেহেতু এখন মাঠে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত এবং গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন হওয়ায় তাদের খুব দ্রুতই স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরে আসা কঠিন, ফলে রাজনীতির স্বাভাবিক হিসাব অনুযায়ী বিএনপি মনে করছে এবং বিশ্বাস করছে যে নির্বাচন হলে তারাই ক্ষমতায় আসবে।


দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতের সঙ্গেও বিএনপির সাম্প্রতিক দূরত্ব বেশ স্পষ্ট। কেননা, বিএনপি মনে করছে, মাঠের ও ভোটের রাজনীতিতে এখন জামায়াতকে না হলেও চলবে। ফলে তারা দ্রুত নির্বাচন চাইছে মূলত তিন কারণে। ১. দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা এবং সরকার ও সরকারি দলের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার নেতা-কর্মীরা ঘুরে দাঁড়াতে চান; ২. নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয় তাহলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বাড়বে। তৃণমূলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নানাবিধ জনবিরোধী কর্মকাণ্ডে তাদের ভোট কমবে এবং ৩. নির্বাচন বিলম্বিত করার মধ্য দিয়ে সরকার তার পছন্দের লোকদের দিয়ে নতুন দল গঠন করিয়ে শক্তিশালী করার সুযোগ পাবে।



বেশ কিছুদিন ধরেই বলা হচ্ছে যে, জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বের আসনে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ৫ আগস্টের পরে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি (যেখানেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক নেতা রয়েছেন) একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে। এ মাসের মাঝামাঝি সেই নতুন দলের ঘোষণা আসবে বলে শোনা যাচ্ছে।


যখন কোনো দল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকারি তথা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠে, তখন সেটি ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পায়। বিগত এক-এগারোর সময়েও এ রকম কিংস পার্টি গড়ে উঠেছিল। এমনকি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও ‘নাগরিক শক্তি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি সেখান থেকে সরে আসেন।


৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পরে রাজনৈতিক দল গঠনের ভাবনা মাথায় রেখে জাতীয় নাগরিক কমিটি নামে যে সংগঠনটি গড়ে তোলা হয়, সেখানেও ‘নাগরিক’ শব্দটি রয়েছে। কিন্তু নতুন এই দলের নাম কী হবে, সে বিষয়ে এখনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে ধারণা করা হয়, দলের নাম যা-ই হোক না কেন, সেখানে ‘নাগরিক’ শব্দটি থাকবে।


এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে ‘নাগরিক’ শব্দযুক্ত একটি দল রয়েছে, সেটি হলো মাহমুদুর রহমান মান্নার ‘নাগরিক ঐক্য’। সুতরাং নতুন রাজনৈতিক দলের নাম যে নাগরিক ঐক্য বা নাগরিক শক্তি হবে না, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে এই দলের নাম যা-ই হোক না কেন, কারা এই দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, সেটি এখন মোটামুটি স্পষ্ট।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও