দেশি একাদশ নিয়ে রংপুরের বিপক্ষে রাজশাহীর আরেকটি চমকপ্রদ জয়
ম্যাড়ম্যাড়ে শেষের পথে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচে শেষ ওভারে হঠাৎই নাটকীয়তা। ৬ বলে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। জিসান আলমের পরপর দুই বল ছক্কা মেরে দিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচে হুট করেই যেন আশার আলো দেখতে পেল তার দল। তবে পরের দুই বলে টাইমিং হলো না ঠিকঠাক। বল লং অনে গেলেও সিঙ্গল নিলেন না সাইফ। শেষ দুই বলে ছক্কা মারতে পারলে ম্যাচ তখনও গড়াতে পারে সুপার ওভারে। কিন্তু পঞ্চম বলে কেবল চারই মারতে পারলেন সাইফ। শেষ বল আবার উড়িয়ে দিলেন ছক্কায়। এমন ঝড়ো শেষের পরও হতাশায় মাঠে দাঁড়িয়ে রইলেন তিনি।
শেষ ওভারে ২২ রান দিলেও রাজশাহী তখন মেতে উঠেছে উল্লাসে। জিতেছে তারা দুই রানে। কিন্তু ব্যবধানে কী যায়-আসে! তাদের কাছে এটা তো স্রেফ একটি ম্যাচ জয়ই নয়! মাঠের বাইরে থেকে ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফরা মাঠে ছুটে গেলেন। এক ম্যাচ জিতে যেন শিরোপা জয়ের উৎসব করে ফেললেন তারা।
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ও তাসকিন আহমেদের আগুনে বোলিংয়ে আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রংপুর। পঞ্চাশের আগেই তারা হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। সেখান থেকে সাইফ উদ্দিনই এক প্রান্ত ধরে রেখে দলকে নিয়ে যান জয়ের কাছাকাছি। তবে তুলির শেষ আঁচড়টা দিতে ব্যর্থ বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
শেষ দিকে স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে জিতে গেল রাজশাহী। ১১ ম্যাচে পঞ্চম জয়ে প্লে-অফের টিকেট পাওয়ার পথে অনেকটা এগিয়ে গেল তারা। টানা ৮ ম্যাচে উড়তে থাকা রংপুর এ নিয়ে রাজশাহীর কাছেই হারল দুই ম্যাচ। তবে এখনও টেবিলের শীর্ষেই তারা।