টি–ব্যাগ থেকে ছড়াচ্ছে মাইক্রোপ্লাস্টিক
এককাপ চা দিয়ে দিনটা শুরু না করলেই অনেকের মেজাজ খিটখিটে থাকে। সেই এককাপ চা বানাতে টি–ব্যাগের ওপর ভরসা করেন অনেকেই। তবে স্পেনের বার্সেলোনার অটোনোমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের টি–ব্যাগ থেকে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক তৈরি হয়, যা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পলিমার-ভিত্তিক উপাদান থেকে তৈরি বাণিজ্যিক টি–ব্যাগ ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার অন্যতম উৎস। টি–ব্যাগ থেকে কোটি কোটি ক্ষতিকারক ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা উন্মুক্ত হচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, টি–ব্যাগের বাইরের স্তরে ব্যবহৃত উপাদান স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত টি–ব্যাগগুলো পলিমারভিত্তিক উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে, যেখানে মিশ্রিত থাকে লাখ লাখ ন্যানোপ্লাস্টিক ও মাইক্রোপ্লাস্টিক। গরম পানিতে টি–ব্যাগ ব্যবহারের সময় এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা উন্মুক্ত হয়ে যায়। এর ফলে চায়ের সঙ্গে লাখ লাখ ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা মিশে যায়। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী আলবা গার্সিয়া-রডরিগেজ বলেন, ‘আমরা দূষণকারী কণাকে উদ্ভাবনী উপায়ে চিহ্নিত করতে পেরেছি। মানবস্বাস্থ্যের ওপর এসব কণার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের মোড়ক থেকে মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিক দূষণ বাড়ছে। এই ন্যানোপ্লাস্টিক ও মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা মানুষের অন্ত্রের কোষ শোষণ করতে পারে। এসব ক্ষুদ্র কণা রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। টি–ব্যাগ তৈরির সময় প্রচুর পরিমাণ ন্যানো আকারের কণা ও ন্যানোফিলামেন্টাস কাঠামো নির্গত হয় যা টি–ব্যাগে থেকে যায়। গবেষণাকালে বিজ্ঞানীরা বাণিজ্যিকভাবে তৈরি বিভিন্ন ধরনের টি–ব্যাগে থাকা মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিক চিহ্নিত করেছেন।
- ট্যাগ:
- প্রযুক্তি
- টি ব্যাগ
- মাইক্রোপ্লাস্টিক