‘সবার আগে বাংলাদেশ’- এ মন্ত্রে ঐক্য ধরে রাখতে হবে : সালাহউদ্দিন

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫২

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যেকোনো মূল্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব মানুষের ঐক্যকে ইস্পাতকঠিন করে গড়ে তুলে সেটা ধরে রাখতে হবে। আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’- এই মন্ত্র সামনে রেখেই একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আইনের শাসনের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ঐক্যবদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল জাতিকে কেউ কখনো পদানত করতে পারে না। গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।


সাক্ষাৎকারটি প্রশ্নোত্তর আকারে দেওয়া হলো-


বর্তমান পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশবাসী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আপনার আহ্বান কী?


সালাহউদ্দিন আহমেদ : দেশবাসীর প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান হচ্ছে, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে গণমানুষের মধ্যে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আইনের শাসনের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ সৃজনের যে তীব্র আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছে, সেই আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখা। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক যাত্রায় আমরা যেন এ দেশের মানুষকে নিয়ে সঠিকভাবে হাঁটতে পারি। সে জন্য আমাদের সর্বোচ্চ ঐক্য ধরে রাখতে হবে। যে ঐক্যের মূলমন্ত্র হবে- ‘সবার আগে বাংলাদেশ’। দেশ আমাদের সবার ওপরে।



অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হচ্ছে। দেশ কিভাবে চলছে?


সালাহউদ্দিন আহমেদ : এ সময়টা খুব বেশি নয়, আবার কমও নয় একটা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নের জন্য। তবে বিপ্লব-উত্তর পরিস্থিতিতে মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে গণ-অভ্যুত্থান এবং গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে যেভাবে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ঠিক সেভাবে সেই গতিতে যাচ্ছে বলে মনে হয় না।সে জন্য এ সরকারকে আরো বেশি কর্মক্ষম এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সংস্কারের কার্যক্রম শুরু করা উচিত। বিশেষ করে নির্বাচন-সংক্রান্ত যেসব সংস্কারের সুপারিশগুলো পাওয়া যাবে, সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরম্ভ করা দরকার। এই সরকারের প্রধান অ্যাজেন্ডা হওয়া উচিত একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক নির্বাচন উপহার দেওয়া। সেটা রোডম্যাপ ঘোষণার মধ্য দিয়েই জাতিকে পরিষ্কার চিত্র দেওয়া উচিত।


দেশের মানুষ গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের কবল থেকে শুধু মুক্তিই চায়নি, তারা শান্তিও প্রত্যাশা করেছিল। সেই প্রত্যাশা আসলে কতটুকু পূরণ হচ্ছে?


সালাহউদ্দিন আহমেদ : মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। বিপ্লব-উত্তর সময়ে অধিকারহারা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার যে তীব্র আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছে, সেটা রাতারাতি পূরণ হয়ে যাবে, বিষয়টা এমন নয়। তবে জনগণ চায় সেই অধিকার পূরণের প্রক্রিয়াটা যেন শুরু হয়। তারা কথা বলতে পারবে, সমাবেশ করার অধিকার পাবে। আইনের শাসনের বাংলাদেশ পাবে। তাদের এই প্রত্যাশা অবশ্যই সংগত এবং আমার মনে হয়, এই প্রক্রিয়াগুলো শুরু হয়েছে। গতিটা হয়তো সেভাবে পায়নি। আমরা আশা করছি, জনগণের সেসব প্রত্যাশা অবশ্যই একদিন পূরণ হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও