পুরুষের কেন ভুঁড়ি বেশি হয় এবং নারীর মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি কেন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪

সহজ হিসাব হলো, খাবারের মাধ্যমে আপনি রোজ যতটা ক্যালরি গ্রহণ করেন, কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে ততটা ক্যালরি পোড়াতে না পারলে আপনার শরীরে মেদ জমতে থাকবে। এই মেদ জমবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায়। তবে নারী ও পুরুষের দেহের হরমোন আলাদা। মেদ জমার প্রবণতা বেশি হবে নাকি কম, আর মেদ জমা হলে শরীরের কোন জায়গায় জমবে, এসব বিষয় হরমোনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। এমনটাই জানালেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা. তাসনোভা মাহিন।


নারীর হরমোন


নারীর দেহে থাকে ইস্ট্রোজেন হরমোন। এই হরমোনই নারীর শরীরে মেদ জমতে ভূমিকা রাখে। তাই নারীর শরীরে পুরুষের তুলনায় মেদ জমে বেশি। অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে নারীর মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। নারীর শরীরের মেদ কোথায় জমবে, সেটিও নিয়ন্ত্রণ করে ইস্ট্রোজেন। এই হরমোনের প্রভাবেই নারীর উরু ও নিতম্বে শরীরের অধিকাংশ মেদ জমে। তা ছাড়া নারীর তলপেটেও মেদ জমে। শরীরের নিচের অংশে জমা মেদ একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকলে তা সন্তানধারণ ও স্তন্যদানের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। যেমন স্তন্যদানের জন্য যে বিপুল ক্যালরির প্রয়োজন হয়, শরীরের এসব অংশের মেদ সহজে ভেঙে গিয়ে সেই ক্যালরির জোগান দেয়। তবে কোনো নারীর দেহে মেদ খুব বেশি হলে পেটেও কিছু পরিমাণে মেদ জমে। আবার মেনোপজের পর স্বাভাবিকভাবেই ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়। তখন শরীরের নিচের অংশের পরিবর্তে পেটে মেদ জমতে থাকে।


পুরুষের হরমোন


পুরুষের দেহে আছে টেস্টোস্টেরন হরমোন। এই হরমোন পেশি গঠনে সাহায্য করে। তাই এর প্রভাবে শরীরে মেদ জমার প্রবণতা কমে। কিন্তু খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ না করলে কিংবা কায়িক শ্রম না করলে মেদ তো তৈরি হয়ই, জমতেও থাকে। তবে নারীর শরীরের মতো ইস্ট্রোজেনের প্রভাব না থাকায় এই মেদ শরীরের নিচের অংশে জমা হয় না, জমা হয় পেটে, অর্থাৎ তৈরি হয় ভুঁড়ি। ভুঁড়ি কমানো বেশ কঠিন। কারণ, পেটের মেদ সহজে ভাঙে না। পৃথিবীর সব অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পুরুষের মধ্যে পেটে মেদ জমার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও