হুয়াওয়েকে গোপনে চিপ সরবরাহ করায় যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত হচ্ছে চীনের যে প্রতিষ্ঠান
চীনা টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের পর দেশটির আরেক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ‘সফগো’কে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান টিএসএমসি থেকে বেশ কিছু চিপ কেনার ফরমাশ দিয়েছিল সফগো, যেগুলো পরে হুয়াওয়ের ‘অ্যাসেন্ড ৯১০বি’ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রসেসর তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনার ফলে সফগোর বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে হুয়াওয়েকে প্রসেসর সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।
টেকইনসাইটস নামের একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি প্রসেসর বিশ্লেষণ করে সেখানে টিএসএমসি তৈরি প্রসেসরে ব্যবহৃত চিপ শনাক্ত করেছে। এই তথ্য টিএসএমসিকে দ্রুত জানায় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর টিএসএমসিও যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বিষয়টি অবহিত করে। শুধু তা–ই নয়, হুয়াওয়ের ‘অ্যাসেন্ড ৯১০বি’ মডেলের এআই প্রসেসরের সঙ্গে নিজেদের তৈরি প্রসেসরের নকশার মিল থাকায় সফগোর কাছে প্রসেসর সরবরাহ স্থগিত করে টিএসএমসি। চীনের সফগো মূলত ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন মাইনিং যন্ত্রাংশ নির্মাতা বিটমেইনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। কালো তালিকাভুক্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি রপ্তানিতে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে প্রতিষ্ঠানটি।
গত অক্টোবর মাসে সফগো দাবি করেছিল, তাদের সঙ্গে হুয়াওয়ের কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন সরকার ও বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করেছে সফগো। এমনকি চায়না টেলিকমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রসেসর সরবরাহ করেছে সফগো। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের (এফসিসি) সঙ্গে যোগাযোগের সময় সফগো বিটমেইনের ই–মেইল ঠিকানা ব্যবহার করেছিল। যদিও বিটমেইন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবে এই সংযোগ নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।