সর্বোচ্চ বায়ুদূষণের এই শহরে এখনো আমরা মরে বেঁচে আছি
অ্যাজমা আক্রান্ত আমার বাবা ১৯৯২ সালে মারা গেছেন। তখনই এই শহরে চলাফেরা করতে তাঁর কষ্ট হতো। সবসময় নাকে রুমাল চাপা দিয়ে বাইরে বের হতেন। বছরে যেসময়টা গ্রামে যেতেন, খুব ভালো থাকতেন। কোন হাঁপানি, কাশি, সর্দি কিছুই তাঁকে কাবু করতে পারতো না। শেষ জীবনটা গ্রামে গিয়ে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিয়ে কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও, তা আর হয়নি। খুব অল্প বয়সেই চলে যেতে হয়েছে ওপারে।
আব্বা ছাড়াও আরো কজন অ্যাজমা রোগীকে দেখেছি দেশের বাইরে গিয়ে সুস্থ হয়ে যেতে। বিদেশ থেকে যারা বেড়াতে আসেন, তারাতো বটেই, এমনকি গ্রাম থেকে শহরে কাজে বা বেড়াতে এলে মানুষের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আর আমরা যারা পরিবার-পরিজন নিয়ে এই দূষিত শহরে বাস করি তারা প্রতিদিন সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছি, চোখ লাল হয়ে চুলকাচ্ছে, চুলে ময়লা জমছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিন্তু তাও থেকে যেতে বাধ্য হচ্ছি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে প্রায় প্রতিমাসেই ঢাকাকে দূষিত নগরীর ঘোষণার পরও কেমন যে গা-সওয়া হয়ে গেছে সবকিছু।