অদক্ষতা অসচেতনতাই দায়ী
বিগত সরকারের সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ওবায়দুল কাদের। পরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, সড়কে চাঁদাবাজি, যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব, মানসম্মত গণপরিবহন নামানো, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে চরমভাবে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। রাজনীতিবিদ হিসেবে সফল হলেও মন্ত্রী হিসেবে সড়ক পরিবহন সেক্টর পরিচালনার কলাকৌশল, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর মতো কারিগরি জ্ঞান, যানজট নিরসনের মতো প্রকৌশলগত প্রখর অভিজ্ঞতা তার ছিল না।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তনের পরও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএতে দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগেনি। এখনো সড়কে গণহত্যা বন্ধে, যানজট ও দুর্ঘটনা কমাতে, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ৫ আগস্টের পর সড়কের চাঁদাবাজরা পালিয়েছে, দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমেছে কিন্তু পরিবহন ভাড়া কমেনি। ফলে পণ্যমূল্যও কমছে না। জরুরিভিত্তিতে পরিবহন খাত জঞ্জালমুক্ত করতে হলে এ খাতের আপাদমস্তক সংস্কার প্রয়োজন। তাই অন্যান্য খাতের মতো পরিবহন খাত সংস্কার কমিশন গঠন করা জরুরি।