অন্তর্বর্তী সরকারকে ঢাকার বাইরে পদচারণা বাড়াতে হবে

বণিক বার্তা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৪

বৈষম্য একটি বহুমাত্রিক বিষয়। এটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পর্যায়ে বিদ্যমান। ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীরাও আলাদাভাবে এক ধরনের বৈষম্যের শিকার। কৃষক ও প্রান্তিক পর্যায়ের যেসব জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের কথা বলা হয়েছে। শ্রমিকদের বিষয় তো আছে বটেই। সুতরাং সব ক্ষেত্রেই এ বৈষম্য বিদ্যমান। গত ১৫ বছর বাংলাদেশ একটি অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে গেছে যেখানে শুধু প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি হারিয়ে যায়নি, প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতিও প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল। এখন একটি মোড় ঘোরানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে।


এ সম্মেলনের বিষয়বস্তু বৈষম্য বা আর্থিক অপরাধ বা অর্থনৈতিক নিরাময়ের কথা যাই বলি না কেন—চারটি জায়গায় নজর দেয়া প্রয়োজন। এক. সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য; দুই. বিনিয়োগ অর্থাৎ বিনিয়োগের ধারাটি উৎসাহিত হচ্ছে কিনা; তিন. কর্মসংস্থান। চার. দৈনন্দিন জীবনের স্বস্তি অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় সাধারণ মানুষের জীবন যে ধরাশায়ী সে জায়গায় স্বস্তি কতটুকু হচ্ছে। এ চার বিষয় বড় ধরনের কাজের জায়গা। এছাড়া আর্থিক অপরাধের বিচার কার্যক্রমকে যদি ত্বরান্বিত করতে হয় তাহলে এ আর্থিক অপরাধগুলোর নতুনভাবে আইনি ব্যাখ্যাও তৈরি করা প্রয়োজন। অর্থাৎ এ অপরাধের আওতায় কী কী বিষয় পড়বে সেগুলোর আইনি স্পষ্টতা ও ভাষা দরকার। মেগা প্রকল্পের আওতায় অনেক দুর্নীতি ও নানা অপরাধ হয়েছে। এখন সময় এসেছে এ মেগা প্রকল্পের একটি নতুন শব্দ চালু করার। তবে কিছু মেগা প্রকল্পের আওতায় দেশের জন্য বৃহৎ অবকাঠামোর প্রয়োজন আছে। কিন্তু গত ১৫ বছরে যে অর্থ অপচয় দেখেছি সেগুলোকে মেগা প্রকল্প বলা উচিত নয়। এগুলো হচ্ছে ‘‌ভ্যানিটি প্রজেক্ট’। কারণ এসব প্রকল্পের কোনো অর্থনৈতিক যুক্তি নেই এবং সেগুলোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক অবদানের সুযোগ নেই। সেটা টানেল হোক বা রেল প্রকল্পই হোক; সেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয়া হলো। সেজন্য ‘‌ভ্যানিটি প্রজেক্টস’ নামে আলাদা একটা সংজ্ঞা চালু হওয়া জরুরি বলে মনে করছি। কিন্তু মেগা প্রকল্প বললে অনেক সময় মনে হয়, বাংলাদেশের মতো দেশে বড় অবকাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে। অবশ্যই সেটি দরকার আছে। তবে এসব ‘‌ভ্যানিটি প্রজেক্ট’ একেবারেই দরকার নেই।



এখন অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যৎ—এ আলোচনা আরো বেশি জোরদার করা উচিত। অবশ্যই দেশের শ্বেতপত্র হচ্ছে। বিগত সরকার যে অপরাধগুলো করেছে সেগুলো মনে রাখতে হবে। কিন্তু আমরা এখন শোধরানো ও বিনির্মাণের অধ্যায়ে আছি। সুতরাং শোধরানো ও বিনির্মাণ—এ জায়গায় আরো বেশি নজর দেয়া জরুরি। সামষ্টিক অর্থনীতির যে দুর্বলতাগুলো রয়েছে সেগুলো সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন রিজার্ভ স্থিতিশীল হয়েছে; ব্যাংক খাতে এক ধরনের সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু অন্য যে তিনটি সূচক, যথা বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রাত্যহিক জীবনে অর্থনৈতিক স্বস্তি—এ বিষয়গুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে শুধু কারিগরি অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নয়, রাজনৈতিক অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গিও জরুরি। এটা না হওয়ায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না, বরং স্থবিরতার বাস্তবতা সেখানে বিরাজ করছে। এ অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টা উপস্থিত আছেন। অর্থ উপদেষ্টাও বলে গেছেন যে তারা জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত পলিসি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু পলিসি একটি ইকোসিস্টেম। এ ইকোসিস্টেমের প্রথম পদক্ষেপ পলিসি গ্রহণ, বাস্তবায়ন হচ্ছে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ দুটো পদক্ষেপ যদি সম্মিলিতভাবে না হয় তখন পলিসি কাগজেই থেকে যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও