দুর্বল ব্যাংকগুলোর সামনে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ
আর্থিক অনিয়মে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকগুলোকে ধার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ সংকটে পড়া সাত ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা চেয়েছে। অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে এমন ১০টি ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে রাজিও হয়েছে। তাদের এই ঋণে গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ধার পেলেই কি ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে সফলতা ও ব্যর্থতা দুই ধরনের উদাহরণই রয়েছে।
একদিকে আছে পদ্মা (সাবেক ফারমার্স), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও বিডিবিএল। যেসব ব্যাংকের নামের পরিবর্তন, আর্থিক সহায়তা ও পর্ষদ পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু উন্নতি হয়নি। আবার অন্যদিকে রয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)।
ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতি ও অর্থপাচারে জড়িতে হয়ে পড়ায় ১৯৯১ সালের ৫ জুলাই বৈশ্বিকভাবে ধসে পড়ে ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কমার্স (বিসিসিআই)। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রক বিসিসিআইয়ের সম্পদ জব্দ করে এবং এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্যাংক হিসেবে গণ্য করা হয় ইবিএলকে। পক্ষান্তরে এখনো খুঁড়িয়ে চলছে পদ্মা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও বিডিবিএল।