সচেতনতা ও বিনিয়োগ অক্সিজেনের ঘাটতি কমিয়ে বহু মৃত্যু ঠেকাতে পারে
অক্সিজেনের প্রয়োজন এখন অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের মতো। বহু মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। সচেতনতা ও বিনিয়োগ অক্সিজেনের ঘাটতি কমিয়ে বহু মৃত্যু ঠেকাতে পারে।
যক্ষ্মা ও ফুসফুসের রোগবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মূল প্ল্যানারি অধিবেশনে এভাবেই অক্সিজেনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে পাঁচ দিনের এই সম্মেলন গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। সারা বিশ্বের তিন হাজারের বেশি প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
অক্সিজেনবিষয়ক ল্যানসেট কমিশনের সদস্য স্টিফেন হো আজ প্ল্যানারি অধিবেশনে বলেন, প্রতিবছর বিশ্বের হাসপাতালগুলোতে ৩৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মেডিকেল অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এদের ৮০ শতাংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের মানুষ। এসব মানুষের ৭০ শতাংশ প্রয়োজনের সময় অক্সিজেন পায় না। তিনি বলেন, কোভিড মহামারির সময় মানুষ অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছিল। আর একটি মহামারির আগে অক্সিজেনের ব্যাপারে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে হবে।
স্টিফেন হো বলেন, অক্সিজেনের ঘাটতি হলে শরীরে শক্তি কমে যায়, কোষ কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে, একসময় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে পড়ে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা এ সমস্যায় পড়ে। অনেকেই তা বুঝতে পারে না। আবার বুঝতে পারলেও অনেক হাসপাতালে কৃত্রিম বা মেডিকেল অক্সিজেন থাকে না। এটার গুরুত্ব ওষুধের মতোই। এটা অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ।