![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2024-10-09%252Fcdetagcu%252F1.png%3Frect%3D150%252C0%252C1620%252C1080%26auto%3Dformat%252Ccompress%26fmt%3Dwebp%26format%3Dwebp%26w%3D640%26dpr%3D0.9)
পাবনায় ছেলেকে নিয়ে ‘দখলের উৎসব’ আওয়ামী গডফাদার শামসুল হকের
দেড় যুগ আগে ছিলেন পাবনা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী। পরিবারসহ থাকতেন একটি টিনশেড ঘরে। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। পরে হন প্রতিমন্ত্রী।
তারপরই ঘুরে যায় তাঁর ভাগ্যের চাকা। প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য (এমপি) পদের প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ–বাণিজ্য এবং নৌঘাট, হাটবাজার দখল শুরু করেন। এভাবে ১৬ বছরে তিনি ও তাঁর পরিবার শতকোটি টাকার মালিক বনে যায়। টিনশেড ঘরের স্থানে নির্মাণ করেছেন ডুপ্লেক্স ভবন। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন দুই শতাধিক বিঘা জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
নিয়োগ–বাণিজ্য ও জমি-ঘাট দখল করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। নিজের দলের যেসব নেতা-কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন, তাঁদের ওপর হামলা চালাতেন। মামলা দিয়ে করতেন হয়রানি। বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদেরও মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এত সব অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, তিনি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও এমপি শামসুল হক (টুকু)। তিনি পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়া) আসন থেকে ২০০৮ সালে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন।
পরের তিনটি ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন। তাঁর বড় ছেলে আসিফ শামস (রঞ্জন) ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে তিনি নৌঘাটসহ বিভিন্ন হাট দখল করে টোল ও খাজনা আদায় করতেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।