সালমান-সামিরার সন্তান না হওয়াও ছিল আত্মহত্যার কারণ
ইমন (সালমান শাহর ডাকনাম) শাবনূরকে নিয়ে গোপনে ভারতে গেছেন। খবরটা চট্টগ্রামে বসেই পান সালমানের স্ত্রী সামিরা। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সামিরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে ফেরার দুই সপ্তাহের মধ্যে আবারও শাবনূরের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে যান সালমান। এ সফরে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন শাবনূরের বাবা ও ভাই। ফিরে এসে সালমান স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, শাবনূর তাঁকে বিয়ের জন্য পীড়াপীড়ি করছেন।
সালমান হত্যা মামলা তদন্তে পিবিআইয়ের চোখে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন তাঁরা, যাঁরা নায়কের মৃত্যুর দিন তাঁর বাসায় ছিলেন। গৃহকর্মী মনোয়ারা তাঁদের একজন। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, সালমানকে সামিরা বলেছিলেন তাঁকে তালাক দিয়ে দিতে। কিন্তু রাজি ছিলেন না সালমান। বলেছিলেন, সামিরাকে ভালোবাসেন, তালাক দিতে পারবেন না। সামিরাও পাল্টা জানিয়ে দেন, সতিনের সংসার তিনি করতে পারবেন না। এসব টানাপোড়েন চলছিল নায়কের মৃত্যুর কয়েক মাস আগে থেকে।