১৬ বছরের ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশটাকে টেনে তুলতে হচ্ছে

প্রথম আলো নাহিদ ইসলাম প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:০৭

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক ছিলেন আপনি। এক মাসের ব্যবধানে আপনি নতুন সরকারের একজন উপদেষ্টা। দায়িত্ব পালনে আপনার অভিজ্ঞতা ও মন্ত্রণালয়গুলোর সংস্কার নিয়ে আপনার ভাবনা জানতে চাই।


নাহিদ ইসলাম: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়া আমার জন্য বড় কিছু নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। যেটা মানুষের কল্পনার বাইরে ছিল। ছাত্রদের নেতৃত্বে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এ আন্দোলনে অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ছাত্র-জনতার ওপর এত নিষ্ঠুরতা হয়েছে, কেউ ভাবতেও পারেনি।


অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর একটা বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। রাজপথে যে ভূমিকা পালন করেছি, সরকারে বসে একই কাজ করছি। আমরা সরকারে থেকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চাই। দায়িত্ব অনেক বেশি। তবে আমাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। মনে রাখতে হবে, ১৬ বছরের ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশটাকে টেনে তুলতে হচ্ছে। যেখানে যেখানে সংস্কারের প্রয়োজন, তা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।


অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা এখানে এসেছি। সেই রক্তের প্রতিদান দেওয়াটা বড় প্রতিশ্রুতির জায়গা। এই যে দায়িত্ব ও ভার, তা প্রতিনিয়ত নিজেকে ভাবায়। একদিকে ভাই হারানোর বেদনা, অন্যদিকে অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা—এ জন্য দায়বদ্ধতা বেশি কাজ করে।




আপনার মন্ত্রণালয়গুলোর অধীনে আছে টেলিটক, বিটিআরসি, বাসস, বিটিভি, ডাক বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার নিয়ে কী ভাবছেন?


নাহিদ ইসলাম: প্রতিটি বিভাগেই সমস্যা আছে। তবে সমস্যার ধরন আলাদা। তাই সমস্যা নিরূপণ করতে হচ্ছে আলাদাভাবে। একটা উদাহরণ দিয়ে বলি, ডাক বিভাগ কী কাজ করে? এ বিভাগের পরিচয়-সংকট আছে। সংস্থাটির কাছ থেকে জনগণ সুবিধা পায়। কিন্তু জনগণের কাছে তা স্পষ্ট নয়। সরকারের জায়গা থেকে ডাক বিভাগের প্রতি একটা অবহেলা ছিল। এটিকে প্রাচীন চিঠির যুগের ব্যবস্থা মনে করা হয়। আমরা ডাক বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সংস্কারের প্রস্তাব চেয়েছি। তাদের কাছে সংস্কার প্রস্তাব চাওয়ার কারণ হচ্ছে, তারাই বলতে পারবে সমস্যাটা আসলে কোথায়। তারা কী চ্যালেঞ্জ দেখছে। সরকারের কাছে তাদের প্রত্যাশা কী। মূল যে জাতীয় নীতিকৌশল প্রণয়ন করা হবে, সেখানে সব রাষ্ট্রীয় সংস্থার সংস্কারের প্রতিফলন থাকবে।


আমরা চাই, বিটিভি জনগণের মিডিয়া হয়ে উঠুক। সেটি করতে গিয়ে যদি নীতিগত সংস্কারের প্রয়োজন হয়, স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব। আমরা চাই, সরকারের চেয়ে বরং বিটিভি জনগণের কথা বলবে। তবে বিটিভির আধুনিকায়ন প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের উপযোগী অনুষ্ঠান প্রয়োজন। বিটিভিতে কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, কী ধরনের সংস্কার করলে বিটিভির ওপর জনগণের আস্থা ফিরবে, তা নিয়ে সাংবাদিকদের মতামত নেওয়া হবে। অনানুষ্ঠানিকভাবে এখন অনেকের সঙ্গে কথা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিটিভি সংস্কারে কমিশন করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও