বিএনপির কাছে জনগণের প্রত্যাশা

প্রথম আলো ড. আবদুল লতিফ মাসুম প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৮

রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যকলাপ সামাজিক বিজ্ঞানে ‘রাষ্ট্র গঠন’ বা ‘জাতি গঠন’ প্রক্রিয়া বলে অভিহিত। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রত্যাশিত রাষ্ট্র বা জাতি গঠনে জনপ্রিয় দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পাদভূমিতে দাঁড়িয়ে সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পুনঃ অনুরণন অনুভূত হচ্ছে বিপ্লব–পরবর্তী বাংলাদেশে।  


১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের পর প্রায় ৫০ বছর ধরে সরকার ও বিরোধী দল উভয় ক্ষেত্রে বিএনপি তার উদ্দিষ্ট সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বানসি কুবুথা (ইন্টারনেট ২০১৬) গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলের পাঁচটি করণীয় নির্ধারণ করেছেন: ১. সমাবেশের স্বাধীনতার অগ্রায়ণ, ২. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উন্নয়ন, ৩. নাগরিক সাধারণকে সরকারি ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ, ৪. ব্যক্তিস্বাধীনতা বিকাশ এবং ৫. ক্ষমতাসীন দলের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ।


প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বিএনপি গণতান্ত্রিক সমাজের লক্ষ্যে উল্লিখিত কার্যক্রম দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অব্যাহত রেখেছে। সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সব পর্যায়ে বিএনপি পালন করেছে নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা। বন্দুকের নল থেকে বিএনপির জন্ম বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বিএনপি তার দীর্ঘ পথপরিক্রমায় প্রকৃত গণভিত্তিক দলে পরিণত হয়েছে।




দেশের বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহানের মন্তব্যে এর স্বীকৃতি রয়েছে। সফল বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির উত্থানে খালেদা জিয়ার ভূমিকাকে মুখ্য মনে করেন তিনি। তাঁর ভাষায়, ‘শি (খালেদা জিয়া) সাকসিডেড ইন ট্রান্সফরমিং দ্য বিএনপি ফ্রম এ স্টেট স্পনসরেড সরকারি পার্টি টু এন অপোজিশন পার্টি’। (রওনক জাহান; ২০১৫: ৩১)


স্বাধীনতার পরপর যে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, তা রাষ্ট্র বা জাতি গঠন প্রক্রিয়ার বদলে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধন করে। এ ক্ষেত্রে ‘জাতীয় সরকার’ অগ্রাহ্যকরণ ও পরবর্তী সময়ে ‘বাকশাল’ গঠন তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।


১৯৭৫ সালের মধ্য আগস্টের বিয়োগান্ত ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে যে সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, স্বাভাবিকভাবে তা রাষ্ট্রিক লক্ষ্য ও গণতন্ত্রের জন্য অনুকূল ছিল না। সামরিক কর্তৃত্বের পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক শূন্যতায় রাষ্ট্রিক সংকট দেখা দেয়। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবে তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান জিয়াউর রহমান ক্ষমতার পাদপীঠে স্থাপিত হন। ইতিহাস প্রমাণ করে, ‘বাংলাদেশকে সুস্থ, স্বাভাবিক, স্বাধীন, সার্বভৌম, শক্তিমান, সমৃদ্ধিশালী ও প্রগতিশীল রাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলার’ যথার্থ কর্মসূচি কোনো রাজনৈতিক দলই গ্রহণ করেনি। (আবুল কাশেম ফজলুল হক: ২০০৮) সৈনিক রাজনীতিবিদ জিয়াউর রহমান উদ্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও