নিজের চোখে আবার নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায় গুলিবিদ্ধ মবিন
বিছানায় বসে নীরব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল ১৭ বছর বয়সী শরীয়তপুরের মবিন। বাইরে যেতে কিংবা হাঁটাচলায় নিতে হচ্ছে পরিবারের সাহায্য। তবে এক মাস আগেও সুন্দর একটি ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুঁনেছিলেন এই কিশোর। কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুই চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসার অভাবে হারাতে বসেছেন চোখের আলো। আর তার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে দরিদ্র পরিবারটির। আবার নতুন করে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন সবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার বড় শিধলকুড়া এলাকার মৃত মোফাজ্জল হোসেন ও নাজমা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে ১৭ বছরের মবিন। বড় ছেলে জুলহাস বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। রাখতে হয় শিকলবন্দি। আর মেজো ছেলে নাজমুল হুদা সামান্য বেতনের একজন ড্রাইভার। বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের সচ্ছলতা ফেরাতে কয়েক মাস আগে ঢাকার উত্তরা রাজলক্ষ্মী এলাকায় কম্পিউটারের দোকানে চাকরি নেন মবিন।
দেশজুড়ে যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন উত্তাপ ছড়াচ্ছে আর তখনি পরিবারের কথা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন মবিন। গেলো ১৮ তারিখ বেলা ১১টার দিকে মিছিলটি উত্তরা থানার দিকে এগোলো হঠাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বৃষ্টির মতো গুলি। অন্তত ২০০টির বেশি ছররা গুলি এসে বিদ্ধ হয় মবিনের মুখমণ্ডলজুড়ে। এরপর চোখের সামনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কে লুটিয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত এক মাসে দরিদ্র পরিবারটি শুধু চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয়েছে অন্তত ২ লাখ টাকা। তবে বর্তমানে অর্থের অভাবে থেমে রয়েছে তার চিকিৎসা।