মৃত্যুপুরীর আলোচনা সভা

www.ajkerpatrika.com অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৫

‘ভালোবাসার চেয়ে ভয় পাওয়া ভালো, যদি আপনি উভয় হতে না পারেন।’—নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি ১৬০০ শতকের একজন ফ্লোরেনটাইন দার্শনিক। তাঁকে ‘রেনেসাঁর সন্তান’ও বলা হয়। কারণ তিনি এমন একসময়ের অন্তর্গত, যখন মধ্যযুগ শেষ হয়ে আসছিল এবং আধুনিক যুগ শুরু হতে চলেছে; অর্থাৎ নবজাগরণের যুগ।


নবজাগরণের যুগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ছিল নেশন স্টেটের উত্থান। তাঁর দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ‘ডিসকোর্সেস অন লিভি’ (১৫৩১) এবং ‘দ্য প্রিন্স’ (১৫৩২), যে দুটিই তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছিল। ‘ইল প্রিঞ্চিপে’ (বাংলায় ‘রাজকুমার’ ও ইংরেজিতে ‘দ্য প্রিন্স’ নামেও পরিচিত) নামের বহুল আলোড়িত গ্রন্থে তিনি বাস্তবতাবাদ সমর্থক ‘রিয়েলিস্ট’ রাজনৈতিক তত্ত্ব তুলে ধরেন।


ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রদর্শন ছিল বস্তুবাদী। তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনার বেড়াজাল থেকে বাস্তবধর্মী চিন্তায় সজ্জিত আধুনিক মতবাদের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাই তাঁকে আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক বলা হয়। ইতিহাসের পাতায় তাঁর আধুনিক রাজনৈতিক চিন্তাধারা প্রকাশিত হয়:



১. তিনি ক্ষমতা-রাজনীতির প্রথম প্রবক্তা।
২. তিনিই প্রথম, যিনি জাতিরাষ্ট্র তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন। 
৩. তিনিই প্রথম চিন্তাবিদ, যিনি ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা করেছিলেন এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রকে ন্যায়সংগত করেছিলেন। 


ম্যাকিয়াভেলিবাদ কী? 
ম্যাকিয়াভেলিবাদ অর্থ প্রতারণা, শঠতা, কপটতা, ধোঁকা ও দ্বিমুখী নীতি। ম্যাকিয়াভেলি শাসককে ভালোবাসা, প্রেম-প্রীতি, দয়া-দাক্ষিণ্য সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে প্রতারণা, কপটতা ও নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে মানুষের মনে ভীতির উদ্রেক করার যে নীতি শিক্ষা দিয়েছেন, তা-ই ম্যাকিয়াভেলিবাদ। 


ম্যাকিয়াভেলির নীতি কী কী? 
সহজ ভাষায় ধূর্ত স্বৈরাচারীদের সমার্থক নীতি। যেমন: 
১. নেতাদের সর্বদা প্রকৃত উদ্দেশ্যগুলো মুখোশ পরানো উচিত। 
২. অসংগতি এড়ানো উচিত এবং প্রায়ই করুণার বিরুদ্ধে, বিশ্বাসের বিরুদ্ধে, মানবতার বিরুদ্ধে, অকপটতার বিরুদ্ধে, ধর্মের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য কাজ করা উচিত।



‘দ্য প্রিন্স’ স্যাটায়ার বা ব্যঙ্গাত্মক লেখা। ম্যাকিয়াভেলি এমন লোকদের নিয়ে মজা করছেন, যাঁরা সীমাহীন নির্বাহী ক্ষমতা চান। স্পষ্টতই, ‘দ্য প্রিন্স’ হলো বাধা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ক্ষমতা অর্জন করা যায় তার পরামর্শ। বইটির মূল ধারণা একজন শাসকের জন্য শেষ উপায়—ন্যায্যতা। শাসকদের শক্তি কী, তার ব্যাখ্যা করেন ম্যাকিয়াভেলি। শক্তি হলো তাদের অবস্থান বজায় রাখা বা প্রসারিত করার জন্য প্রচেষ্টা, এমনকি যদি সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনৈতিক কাজের প্রয়োজন হলেও তা করা।


ম্যাকিয়াভেলির মতে, একজন শাসককে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে যা কিছু সাফল্য নিয়ে আসে, তা শক্তির কারণে হয়। রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের জন্য তিনি যেকোনো উপায় অবলম্বন করতে পারেন। তিনি বলেন, রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতার জন্য নিরন্তর লড়াই। সব রাজনীতিই ক্ষমতার রাজনীতি।


ধরুন, যদি অন্য ভুবনে, জীবন নদীর ওপারের জগতে একটা সভা শুরু হচ্ছে। তার আগে খানিকটা আড্ডা চলছে। সেই আড্ডায় ম্যাকিয়াভেলিকে রংপুরের চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন প্রশ্ন করলেন, ‘ম্যাকিয়াভেলি, এই মুহূর্তের বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আপনার অনুভূতি কী?’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও