ধ্বংসস্তূপ থানা, করা যাচ্ছে না জিডি-মামলা
মোহাম্মদপুর থানা চারতলা বিশিষ্ট। ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে সহিংসতায় পুড়েছে থানাটির বেশিরভাগ কক্ষ। থানা চত্বরে থাকা গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার কাগজপত্র, নথি, চেয়ার-টেবিল সব পুড়ে ভস্মীভূত। নেই কোনো অস্ত্রও। বলা যায় পুরো ভবনটি কঙ্কালসার।
শুধু মোহাম্মদ থানা নয়, ঢাকার বেশ কয়েকটি থানা ভবনের চিত্র একই। গত কয়েক দিনের সহিংসতায় দুর্বৃত্তরা থানায় হামলার পর নিহত হন অনেক পুলিশ সদস্য। তবে কমিটি করলেও নিহত পুলিশ সদস্যদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানে না পুলিশ সদর দপ্তর। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত থানাগুলো এখনো কার্যক্রম শুরুর উপযোগী হয়নি। যেগুলোতে শুরু হয়েছে সেগুলোতে চলছে সীমিত কার্যক্রম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি হয়। শেষ তিন দিন (শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে-পরে) থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সারা দেশে পুলিশি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সদস্যরা থানায় আসতে সাহস পাননি। স্থাপনা পাহারা দেওয়ার জন্য আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।