অর্থনীতির স্বার্থে বড় রকমের সংস্কারে জোর দিতে হবে
অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকার যেভাবেই কাজ শুরু করুক না কেন, তাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। সার্বিক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনায় নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।
ইতিমধ্যেই ক্ষমতাসীন সরকারের পালাবদল হয়েছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পথে দেশ। তারা যেভাবেই কাজ শুরু করুক না কেন, এই নতুন সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
ড. আহসান এইচ মনসুর: অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকারের কাছে মোটাদাগে আমার প্রত্যাশা থাকবে—সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নজর এবং অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে দ্রুত কাজ শুরু করা। তবে সেটি করতে হলে সবার আগে চলমান সংঘাত-সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, হামলা-ভাঙচুর দ্রুত বন্ধ করতে হবে। জনমনে সৃষ্ট ভয়-আতঙ্ক দূর করে শান্তি ফিরিয়ে আনায় জোর দিতে হবে।
কোটা আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতি ইতিমধ্যে দুই দফায় আক্রান্ত হয়েছে এবং বড় রকমের ক্ষতির শিকার হয়েছে। নতুন সরকার সেটি কতটা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হবে বলে আপনি মনে করেন?
ড. আহসান এইচ মনসুর: দেশে একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত রয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা, আস্থা ও ব্যবসার সহায়ক পরিবেশ দিতে পারলে এই অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য নতুন সরকারকে সঠিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে। বিশেষ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তীক্ষ্ণ নজর ও দুর্নীতি রোধে বিশেষ মনঃসংযোগ জরুরি। কঠোরভাবে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন নীতি বজায় রাখতে হবে। তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলবে, যা অর্থনীতিতে বাড়তি প্রবৃদ্ধি ঘটাতে সহায়ক হবে।
এ ক্ষেত্রে তো অনেক চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। তাহলে...?
ড. আহসান এইচ মনসুর: হ্যাঁ, এটা ঠিক। এই জার্নিতে অনেক দিক থেকে চ্যালেঞ্জ আসবে। ভালো কিছু করতে গেলে এই চ্যালেঞ্জ থাকবেই। বিশেষত পলিটিক্যাল চ্যালেঞ্জ আসবে, কিন্তু জনমনের ভাষাও বুঝতে হবে। তাই তো একটি পরিবর্তন ঘটেছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অথবা নতুন সরকার উভয়কেই এসব চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।